রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের \’জীবিত ও মৃত\’ ছোটগল্পের বিখ্যাত চরিত্র কাদম্বিনীর মতো প্রত্যেকে নারী অভাগী নন, সুতরাং জীবিতাবস্থার প্রমাণ দেওয়ার জন্য জীবন ত্যাগের চূড়ান্ত পদক্ষেপ না নিলেও নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সহিদা বেগম নামে কাগজে কলমে মৃত এক নারী। তিনি প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিজেকে জীবিত প্রমাণ করার।
চিরিরবন্দর উপজেলার ভূমি অফিসের চতুর্থ শ্রেণির অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মৃত ফজিরউদ্দিনের স্ত্রী সহিদা বেগম আব্দুলপুর ইউনিয়নের নান্দেড়াই গ্রামের বাসিন্দা। সহিদা বেগম বাস্তবে জীবিত থাকলেও ভোটার তালিকায় তিনি মৃত। এ কারণে তিনি বঞ্চিত হচ্ছেন ভোটসহ স্বামীর অবসরভাতা উত্তোলন ও বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা থেকে।
জানা গেছে, সহিদা বেগম উপজেলা নির্বাচন অফিসে গত ৬ মাস ধরে ধর্ণা দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। সহিদা বেগম বলেন, \”আমি জানতাম না ভোটার তালিকা থেকে আমার নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। স্বামীর অবসরভাতা তুলতে ব্যাংকে গিয়ে শুনি যে, আমার নাম ভোটার তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হয়েছে। আমি নাকি মারা গেছি।\”
এ বিষয়ে স্থানীয় আব্দুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ মো. ময়েনউদ্দিন শাহ্ বলেন, \”ভুলবশত ওই নারীর নাম ভোটার তালিকায় কাটা পড়েছে। তিনি জীবিত ও সুস্থ আছেন। তাকে জীবিত থাকার একটি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছি।\”
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মালেক জানান, গত ২০ জানুয়ারি ২০২১ ভোটার তালিকায় ওই নারীর নাম পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ঢাকায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক বরাবরে পত্র দেওয়া হয়েছে। এখনো কোনো প্রতিউত্তর আসেনি।