গত ৫/৬ দিন ধরে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে সব ধরনের চালের দাম বেড়েই চলেছে। মোটা চালের সরবরাহ কম থাকায় চিকন চালের দাম বেড়েছে। শহরের নতুন বাজারের চালের মার্কেটে পাইকারীতে ২৮-জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেশি ৪৮ টাকা, ২৯-জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা আর মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকায়। তবে খুচরা পর্যায়ে এর সাথে ২/৩ টাকা যোগ হয়ে কেনা বেচা হচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলার ৪টি খাদ্য গুদামে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪ হাজার ১৯১ মেট্রিক টন। সেখানে ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১৫০০ মেট্রিক টন। অন্যদিকে, চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সংগ্রহ হয়েছে শতকরা ৭৫ শতাংশ।
পার্বতীপুরের মিল মালিকরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজারে ধান ও চালের দাম বেশি থাকায় তারা বাজার থেকে প্রয়োজনীয় ধান সংগ্রহ করতে পারেননি। মিল মালিকরা আরো বলেন, ধানের সংকট, কাটা মাড়াইয়ের সময় ঘন বৃষ্টির কারণে উল্লেযোগ্য পরিমান ধান নষ্ট হয়। এসব কারণে বাজারে ধান সরবরাহ কম করা হয়েছে। বর্তমানে বাজারে মিডিয়াম ও মোটা ধান কেনা বেচা হচ্ছে প্রতি মণ (কেজির ওজন) ১১০০ টাকা থেকে ১১২০ টাকা এবং মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ১১২০ থেকে ১২০০ টাকা মণ।
পার্বতীপুর শহরের নতুন বাজারে চাল মার্কেটে প্রতি কেজি মোটা ও মিডিয়াম চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৭ টাকা। আর মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫/৫৬ টাকায়।
ক্রেতা মো. নুর আলী বলেন, বাজারে এখন মোটা চালের দাম বেশি হওয়ায় গরিব মানুষদের কষ্ট বেড়ে গেছে।
মন্ডল অটো রাইস মিলের মালিক মো. মশিউর রহমান বলেন, চালের দাম বাড়ার আরেকটি বড় কারণ হলো রেসিও। আগে ৪০ কেজি ধানে চাল পাওয়া যেত ২৬ কেজি, আর এখন পাওয়া যাচ্ছে ২৩ থেকে সাড়ে ২৩ কেজি।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, সরকার বসে নেই। দ্রুতই আমদানী শুরু হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, যারা চুক্তি করে সরকারকে চাল দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।