ছাত্রীর রক্তমাখা স্কুল ড্রেস, চাঞ্চল্যের সৃষ্টি

ঈশ্বরদীর একটি গ্রামের রাস্তার ধারে লিচুবাগান থেকে রক্তমাখা স্কুলড্রেস উদ্ধার নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ও এলাকার শত শত মানুষ ওই লিচু বাগান ও আশপাশের জঙ্গলে দিনভর খোঁজাখুজি করে, দমকল বাহিনীর ডুবুরিদল পুকুরে নেমে উদ্ধার করতে পারেনি কোন স্কুলছাত্রীর মৃতদেহ। গ্রামের সব মসজিদের মাইকে দিনভর মাইকিং করা হয়েছে। পাবনা পুলিশ সুপার ফেসবুকে ওই রক্তমাখা স্কুল ড্রেসের ছবি দিয়ে সবার কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে কোন স্কুলছাত্রী নিখোঁজ হলে খবর দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামের একটি কালভার্ট, লিচুবাগান ও পুকুরপাড়ের পাশে ঝোপের মধ্য থেকে ওই রক্তমাখা স্কুলড্রেস উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ঈশ্বরদী থানার একদল পুলিশ ও দমকল বাহিনীর ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে আসে। শত শত উৎসুক মানুষও ভিড় করে ওই পুকুরপাড়ে। স্কুলড্রেসটি মানিকনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কোন ছাত্রীর বলে ধারণা করা হয়েছে।

মানিকনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান জানান, স্কুলড্রেসটি এই স্কুলের কোন ছাত্রীর হতে পারে, তবে এখন পর্যন্ত কোন ছাত্রী নিখোঁজ রয়েছে কিনা তা জানা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা খায়রুল বাসার মিঠু জানান, স্কুল ড্রেসের রং নীল কামিজ ও সাদা পায়জামা দেখে এটি মানিকনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুলড্রেস বলে সনাক্ত করা হয়েছে। ওই স্কুলের ছাত্রী ও অভিভাবকরা রক্তমাখা স্কুলড্রেসটি দেখতে ভিড় করেন। তবে কেউ বলতে পারেননি এটি কার স্কুলড্রেস।

পুলিশ ও এলকাবাসী রক্তমাখা স্কুলড্রেসের ধরণ দেখে ধারণা করেছেন, ৮ম থেকে দশম শ্রেণীর কোন ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুম করে রাখতে পারে দুর্বৃত্তরা। এ ধারণা থেকে পুলিশ এলাকায় ব্যাপক তল্লাশী করছে বলে জানান ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিম উদ্দীন জানান, পুলিশ এখনো নানাভাবে খোঁজ নিচ্ছে। তবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন ছাত্রী নিখোঁজের সন্ধান পাওয়া যায়নি। পাবনা পুলিশ সুপার জিহাদুল কবীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, ২৩ আগস্ট ২০১৭,

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসপি

Scroll to Top