দুই মাসেরও বেশি সরকারি ছুটির পাশাপাশি সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজার রাখার কর্মসূচি চললেও থামানো যায়নি করোনা সংক্রমণ। এ অবস্থায় আক্রান্তের আধিক্য বিবেচনায় ‘রেড জোন’, ‘ইয়েলো জোন’ ও ‘গ্রিন জোন’ চিহ্নিত করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তবায়ন হবে স্বাস্থ্যবিধি ও আইনি পদক্ষেপ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেশের তিনটি বিভাগ, ৫০টি জেলা ও ৪০০টি উপজেলাকে পুরোপুরি লকডাউন (রেড জোন বিবেচিত) দেখানো হচ্ছে। আর আংশিক লকডাউন (ইয়েলো জোন বিবেচিত) দেখানো হচ্ছে পাঁচটি বিভাগ, ১৩টি জেলা ও ১৯টি উপজেলাকে।
লকডাউন নয় (গ্রিন জোন বিবেচিত) এমন জেলা দেখানো হচ্ছে একটি এবং উপজেলা দেখানো হচ্ছে ৭৫টি। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় রাজশাহীকে বলা হচ্ছে পুরোপুরি লকডাউন এলাকা (রেড জোন)।
সামান্য বিরতি দিয়ে রাজশাহীসহ রেড জোনগুলোকে প্রথমে লকডাউনের মধ্যে আনা হচ্ছে। এর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শুক্রবার দেশের প্রথম রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত কক্সবাজার শহরের ১০টি ওয়ার্ড লকডাউন করা হয়েছ।
তবে রাজশাহীকে রেড জোন ঘোষণা করা হলেও সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. হামিদুল হক বলেন, ‘আমরা সরকারি নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মৌখিক বা লিখিতভাবে এখনও কিছু জানায়নি। মন্ত্রণালয় থেকে যে ধরনের নির্দেশনা দেয়া হবে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা প্রস্তুত আছি।’
রাজশাহী জেলা প্রশাসক বলেন, ‘লকডাউন কেমন হবে, শুধু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নাকি দোকানপাটও বন্ধ থাকবে, এসব বিষয়ে নির্দেশনা আসতে হবে। লকডাউন করার অর্থ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। এখন লকডাউন অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা পুলিশের ভূমিকা কী হবে, এ বিষয়েও কোনো নির্দেশনা পাইনি’।
এদিকে, ওয়েবসাইটে শনিবার (০৬ জুন) আপডেট করা তালিকায় রাজশাহী বিভাগে রেড জোনে থাকা জেলাগুলো হলো- বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর ও রাজশাহী। আর ইয়েলো জোনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ। তবে রেড জোন বা ইয়েলো জোনে থাকা নাগরিকদের জন্য কোনো ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়নি সরকারি এই ওয়েবসাইটেও।