দাপীয়ে রাখা যাচ্ছে না মহামারী করোনা কে সে তার আপন গতিতে বেড়ই চলেছে দিন দিন। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ল্যাবে আরও পাঁচজনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহীর তিনজন। একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এবং অন্যজন জয়পুরহাটের অধিবাসী। প্রথমবার করোনা শনাক্ত হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জে। আর রাজশাহী জেলায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়ালো আটজনে।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক জানান, সোমবার (২০ এপ্রিল) পুঠিয়া উপজেলায় শনাক্ত হওয়া কোভিড-১৯ রোগীর দুজনই নারী। তাদের বয়স যথাক্রমে ২৫ ও ২৬ বছর। একজনের বাড়ি উপজেলার তারাপুর গ্রামে। অন্যজনের বাড়ি ধোপাপাড়া গ্রামে। এদের একজন ঢাকা এবং অন্যজন নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন।
রাজশাহীর নতুন শনাক্ত আরেকজনের বাড়ি জেলার বাঘা উপজেলায়। তিনি রাজশাহীর সংক্রমণ ব্যাধি (আইডি) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আইসোলশনে চিকিৎসাধীন। তবে পুঠিয়ার দুই নারীকে বাড়িতেই আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। তাদের বাড়িগুলোও লকডাউনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাজশাহীতে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় পুঠিয়া উপজেলায়। এরপর পুঠিয়া উপজেলায় আরও দুইজন এবং মোহনপুর ও বাগমারা উপজেলায় একজন করে ব্যক্তির শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। সোমবার পুঠিয়ায় আরও দুইজন করোনা পজিটিভ নারী শনাক্ত হলেন। আক্রান্তরা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে ফিরেছেন। করোনা প্রতিরোধে গত ১৪ এপ্রিল থেকে রাজশাহীকে \’লকডাউন\’ ঘোষণা করা হয়েছে।