সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) এলাকার সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ তার নির্বাচনী এলাকা রায়গঞ্জ, তাড়াশ ও সলঙ্গার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। প্রতি শুক্রবার তার কার্যালয়ে বসে দরিদ্র পরিবারের শিশুদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন। শিশুদের পাশাপাশি অসহায় মানুষদেরও চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ডা. আব্দুল আজিজ তার তাড়াশ সদরের ভাড়া বাসার একটি কক্ষে বসে রোগী দেখছেন। আর বাহিরে দাঁড়িয়ে-বসে রয়েছেন চিকিৎসাসেবা প্রত্যাশী বেশকিছু সংখ্যক মানুষ।চিকিৎসা নিতে আসা শ্রীমতী রঞ্জনা রানী ও জুলেখা খাতুন নামে দুই শিশুর মা বলেন, তাদের মেয়ে এক বছর যাবৎ ঠাণ্ডাজনিত অসুস্থতায় ভুগছে। টাকার অভাবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানো সম্ভব হচ্ছিলো না। আগেও তিনি ডা. আব্দুল আজিজকে দিয়ে তার মেয়েকে একবার দেখিয়েছেন। দ্রুত তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
ফজল আলী, কোরবান আলী, রাকেলা খাতুন, নৌমন খাতুন, সামেজা পারভিন, নাছিমা পারভিন বলেন, বয়সের ভারে তাদের সবসময় অসুখ লেগেই থাকে। তার দক্ষ হাতের চিকিৎসায় তারা অনেকটা সুস্থভাবে বেঁচে আছেন। ডা. আব্দুল আজিজ মূলত তাদের মতো গরীবেরই ডাক্তার।
সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) কামরুল হক রাসেল বলেন, বাড়িতে বেড়াতে আসলেও নাওয়া খাওয়া ভুলে শত শত এলাকাবাসীকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে ঈদ ও পূজায় বাড়িতে এসে রোগী দেখার চাপে ঠিক মতো খেতে ও ঘুমাতে পারেন না। তাছাড়া এলাকার সমস্যা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেখতে তিনি যেখানেই যান সেখানেই সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও অসহায় মানুষ তার কাছে চিকিৎসাসেবা নিতে ভিড় জমান। আর তিনি কখনও রাজনৈতিক মঞ্চে কখনো খাবার টেবিলে বসেও সেইসব রোগী দেখে ব্যবস্থাপত্র দেন।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) এলাকার সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ বলেন, চিকিৎসক জীবনের শুরু থেকেই তিনি মানুষের পাশে রয়েছেন। বিশেষ করে দরিদ্র শ্রেণির মানুষের পাশে। আর বেঁচে থাকা অবধি তার এই চিকিৎসাসেবা অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত: সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাকড়শোন গ্রামের মৃত জহির উদ্দিন সন্তান। ঢাকা শিশু হাসপাতালের অধ্যাপক, শিশু ইউরোলজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ঢাকা শিশু হাসপালের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি। শুধু জাতীয় পর্যায়েই নয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও শিশু বিশেষঙ্গ হিসেবে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
:ইত্তেফাক