সেবা নিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে হয়রানি বেড়েছে পর্তুগাল প্রবাসীদের। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদাসীনতা ও স্বেচ্ছাচারীতায় এই ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। সহজে সমাধান যোগ্য ইস্যুতেও অনেককে বসিয়ে রাখা হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের বাংলাদেশ দূতাবাসের বাইরে প্রবাসীদের দীর্ঘ লাইন। শহরের বাইরে থেকেও এসেছেন অনেকে। ভোর থেকে দাঁড়িয়েছেন লাইনে। একটাই লক্ষ্য দ্রুত কাজটি সেরে যোগ দেবেন কর্মক্ষেত্রে।
৯টায় দূতাবাসের কনস্যুলার সেবার দরজা খুললেও ১০ টার দিকে দূতাবাসে ঢুকতে দেখা যায় সেদিন প্রবাসীদের কাগজপত্রের সাক্ষরের দায়িত্বে থাকা কাউন্সেলরকে। প্রবাসীদের অভিযোগ এ চিত্র প্রতিদিনের।
সম্প্রতি দূতাবাস প্রাঙ্গণের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে নানা অভিযোগের সঙ্গে নতুন যোগ হয়েছে সেবা প্রত্যাশীদের জন্য একমাত্র ওয়েটিং রুম বন্ধ রাখার বিষয়টি। তাই রোদে দাঁড়িয়েই সেবা নেয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় প্রবাসীদের। নেই ডিজিটাল টোকেন সিস্টেম। প্রবাসীদের সেবাদান সহজ করতে সরকারের নির্দেশনা থাকলেও নানা নিয়মের বেড়াজালে ভোগান্তির শেষ নেই বলে অভিযোগ তাদের।
এর বাইরেও কূটনৈতিক তৎপরতার অভাবে মুখ থুবড়ে পড়ছে পর্তুগাল বাংলাদেশ সম্পর্ক। কিছু দিবস পালন ছাড়া দু’দেশের সম্পর্কোন্নয়নে সাম্প্রতিক কোন বৈঠকের তথ্য পাওয়া যায়নি দূতাবাসের ওয়েবসাইটে।
২০২৩ সালের ১৬ মার্চ সবশেষে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হয় দুই রাষ্ট্রের। আলোর মুখ দেখার অপেক্ষায় থাকা সম্ভাবনাময় নানা ইস্যুও এগোয়নি এরপর। ই-মেইলে বিভিন্ন অভিযোগ অস্বীকার করলেও প্রবাসীদের নানা সমস্যার বিষয়ে দূতাবাসের দায়িত্বশীল কোন ব্যক্তি কথা বলতে রাজি হয়নি।