আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাজ্যে হয়ে গেল শেষ নির্বাচনী বিতর্ক। এতে অভিবাসন নীতি নিয়ে দুই প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীর মধ্যে চলে তুমুল বিতর্ক। অবৈধভাবে ব্রিটেনে বসবাসের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশিদের উদাহরণ টানেন লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার। এক মন্তব্যেই বেঁকে বসেছে পুরো বাংলাদেশি কমিউনিটি।
গেল মঙ্গলবার (২৫ জুন) ব্রিটিশ প্রভাবশালী গণমাধ্যম ‘ডেইলি সান’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার বলেন, তার দল ক্ষমতায় এলে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশিদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী রুশনারা আলী বলেন, একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করা ভুল ছিল স্টারমারের, তবে এটিকে প্রোপাগান্ডা হিসেবে প্রচার করা ঠিক নয়। লেবার পার্টি সবসময়ই বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান রুশনারা।
এদিকে স্টারমারের মন্তব্যের জেরে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে তীব্র ক্ষোভের মুখে এর ব্যাখ্যা দিয়েছে লেবার পার্টি। বাংলাদেশের সঙ্গে লেবার পার্টির সম্পর্ক তুলে ধরে দলটি জানায়, স্টারমার কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এমন মন্তব্য করেননি।
তাদের দলের সঙ্গে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর ও বন্ধুত্বপূর্ণ বলেও জানান তারা। স্টারমার নিজেও কয়েকবার বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছেন উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের।
কিয়ার স্টারমার বলেন,
কেউ যদি আমার কথায় কষ্ট পেয়ে থাকেন, আমি কাউকেই আঘাত করতে বা কষ্ট দিতে চাইনি। আমি খুবই উদ্বিগ্ন যে মানুষ কষ্ট পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি কমিউনিটি আমাদের অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে যে বিশাল অবদান রাখে আমি সেটাকে ভীষণ মূল্যবান মনে করি।
এদিকে স্টারমারের এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে লেবার পার্টির টাওয়ার হ্যামলেটস শাখার ডেপুটি লিডার ও কাউন্সিলর সাবিনা ইয়াসমিন লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছেন।