দুইখাতে বিদেশি কর্মীদের নিয়োগকর্তা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। দেশটিতে বর্তমানে শ্রমের ঘাটতির সম্মুখীন দুটি খাত হচ্ছে প্ল্যান্টেশন এবং কৃষি।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিদেশি কর্মীদের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র ও মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যৌথ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিদেশি শ্রমিকদের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মানবসম্পদমন্ত্রীর মধ্যে দশম যৌথ কমিটির বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিম; কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তামন্ত্রী দাতুক সেরি মোহাম্মদ সাবু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাতুক ডা. জুল্কফ্লাই আহমেদ এবং গণপূর্তমন্ত্রী দাতুক আলেকজান্ডার নান্তা লিঙ্গি।
বৈঠকের আগে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল প্ল্যান্টেশন ও কমোডিটিমন্ত্রী দাতুক সেরি জোহারি আব্দুল গনির সাথে দেখা করলে মন্ত্রী বৃক্ষরোপণ সেক্টরে শ্রমিকের অভাবের সমস্যাটি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এই পদ্ধতিটি (নিয়োগকর্তা পরিবর্তন) আমরা প্রয়োগ করব কারণ কর্মীদের দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব নয় কারণ এটি বাধ্যতামূলক শ্রমের মধ্যে পড়বে যা আমাদের রেটিংকে প্রভাবিত করবে।
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিকভাবে বাধ্যতামূলক শ্রম এবং মানবপাচার বিষয়ে আন্তর্জাতিক ডিসপিউট থেকে বের হবার চেষ্টা করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিয়োগকর্তা বিদেশি কর্মী নিয়ে এসেছেন এবং স্পষ্টতই তিনি চাকরি দিতে পারবেন না, তাই আমরা কর্মচারীকে প্রাধান্য দিয়ে নিয়োগকর্তা পরিবর্তনের অনুমতি দিচ্ছি।
এর আগে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশি শ্রমিকের অভাবে রাবার সেক্টর কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন করতে পারছে না। প্রায় ৪ লাখ ২০ হাজার হেক্টর রাবার বাগান শ্রমিকের অভাবের কারণে কাজ শুরু করতে পারেনি। অথচ রাবার সেক্টরে ৭০ হাজারের বেশি বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে।
এদিকে সাইফুদ্দিন বলেন, কমিটি আরও সম্মত হয়েছে, বিদেশি শ্রমিকদের দেশে আনার আবেদনের সময়সীমা ২৯ মাস ১৩ দিন থেকে কমিয়ে ১৫ মাস ২৩ দিন করার।
‘আগে আমাদের ফ্লো চার্ট, প্রক্রিয়া, অনুমোদন, এজেন্সি ইন্টারভিউ, লেভি পেমেন্ট, শর্তসাপেক্ষ অনুমোদনের চিঠি, ভিসার জন্য অপেক্ষা করা, ভিসা ইস্যু করা, এই সমস্ত কিছুতে কোটার আবেদন থেকে কর্মীদের প্রবেশের জন্য ২৯ মাস এবং ১৩ দিন সময় লাগত।’
তিনি বলেন, ফি, খরচ, চুক্তির শর্তাবলী এবং স্বাস্থ্যের মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) আবারো পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।