দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়া গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে সব পেশার শ্রমিক নেয়ার অনুমোদন দেয়। বিশেষ করে গৃহকর্মী, বাগান, কৃষি, উৎপাদন, পরিষেবা, খনি ও খনন এবং নির্মাণ খাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রটি বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে। গতকাল রোববার দুই দেশের মধ্যে শ্রমবাজার নিয়ে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) সম্পন্ন হয়। কুয়ালালামপুরে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ ও মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান।
চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং অভিবাসী কর্মীদের প্রত্যাবাসনের আদর্শ কাঠামো প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বাসস।
শ্রমবাজার চুক্তিতে মালয়েশিয়া যেতে বাংলাদেশীকর্মীদের বিভিন্ন সুবিধার কথা উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বীমা, চিকিৎসাসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে।
যেসব সুবিধা পাবেন বাংলাদেশীকর্মীরা-
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমঝোতা চুক্তির (এমওইউ) আওতায় বাংলাদেশী কর্মীদের মালয়েশিয়া প্রান্তের সকল খরচ নিয়োগকর্তা বহন করবে। এরমধ্যে, রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়োগ; মালয়েশিয়ায় আনয়ন;আবাসন; কর্মে নিয়োজন এবং কর্মীর নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর খরচ বহনের বিষয়টিও রয়েছে।
এ ছাড়া এমওইউ অনুযায়ী নিয়োগকর্তা নিজ খরচে মালয়েশিয়ান রিক্রুটিং এজেন্ট নিযুক্ত করতে পারবেন। দেশটিতে যাওয়ার পর বাংলাদেশী কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি; ভিসা ফি;স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ; ইনস্যুরেন্স সংক্রান্ত খরচ; কভিড-১৯ পরীক্ষার ব্যয়; কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত খরচসহ সকল ব্যয় মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা অথবা কোম্পানি বহন করবে।
নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বীমা, চিকিৎসা এবং কর্মীদের কল্যাণ নিশ্চিত করার ব্যাপারে লক্ষ্য রাখবে। এসব নিয়মাবলীর সঠিক বাস্তবায়ন করা হলে কর্মীর অভিবাসন সংক্রান্ত খরচও অনেক কমে যাবে বলে উল্লেখ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
সংবাদ সূত্রঃ বাসস