মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগ ষষ্ঠতম ভিসা প্রত্যাশী অভিবাসীদের দিল সুখবর। দেশটিতে ২০১৬ সালে কাগজ-পত্রবিহীন অভিবাসীদের জন্য চালু হওয়া রিহায়ারিং প্রোগ্রাম (পূর্ণ বৈধকরণ) কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। রিহায়ারিং প্রোগ্রামটি ৫ বছর মেয়াদি হওয়ায় ৫মতম পারমিট (ভিসা) শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইন আনুযায়ী এ বছরই বেশির ভাগ অভিবাসীকে তাদের স্ব স্ব দেশে ফিরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। ষষ্ঠতম ভিসা রিনিউ বা নবায়ন করতে পারছিলেন না তারা। এতে করে বাংলাদেশিসহ লাখ লাখ অভিবাসী অবৈধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম ও অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছিলেন। অবশেষে মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন বিভাগের এমন ঘোষণায় খুশির জোয়ার বইছে বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরাসহ বাংলাদেশিদের মাঝে।
গতকাল বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক খায়রুল জাজাইমি বিন দাউদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
রিহায়ারিং প্রোগ্রামে অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাস (পিএলকেএস) হলো বেসরকারি সংস্থা মাইইজির মাধ্যমে সরকার কর্তৃক অভিবাসী কর্মীদের বৈধতার মাধ্যমে কর্মসংস্থান ব্যবস্থা। এই অস্থায়ী ভিজিট পাস (পিএলকেএস) রিহায়ারিং প্রকল্পটি ২০১৬ সালে শুরু হয়ে একটানা ৫ বছর ২০২১ সাল পর্যন্ত থাকার কথা ছিল। ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশের কর্মীরা বিপাকে পড়তেন। কোভিড মহামারির কারণে দেশটির অর্থনীতি ও শ্রমবাজট সংকটের মুখে পড়ে এবং তীব্র শ্রমিক সংকট সৃষ্টি হয়। তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় রিহায়ারিং প্রোগ্রাম ২০২৪ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার, যা প্রতি বছর বছর নবায়ন করে নিতে হবে। ৬পি বা ষষ্ঠতম ভিসার কার্যক্রম ২০ ডিসেম্বর থেকে পুরোদমে শুরু হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নিয়োগকর্তাদের যারা রিহায়ারিং প্রোগ্রামের অধীনে কর্মচারী নিয়োগ করেন তাদের নিম্নলিখিত প্রধান শর্তগুরোর প্রতি মনোযোগ দিতে বলা হয়েছে।
১.নিয়োগকর্তারা রিহায়ারিং প্রোগ্রামের অধীনে নিয়োগের পর কোনো শর্ত লঙ্ঘন করেনি এমন কর্মী।
২. যে কর্মচারীদের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তারা ভিসা নবায়নের জন্য আবেদন করার যোগ্য নন।
৩. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (কেডিএন) বিশেষ অনুমোদন ছাড়া কর্মচারীরা বা নিয়োগকর্তা সেক্টর পরিবর্তন করতে পারবেন না।
৪. শুধু নিয়োগকর্তা এবং অনুমোদিত নিয়োগকর্তা প্রতিনিধিদের এক্সটেনশন আবেদন জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
৫. এই অস্থায়ী ভিজিট পাস (পিএলকেএস) এক্সটেনশন শুধু ই- পিএলকেএস বা মাইইজির মাধ্যমে অনলাইনে অনুমোদিত হবে।