ইতালি আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী\’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল এর সঞ্চালনায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা।
হাজী মোহাম্মাদ ইদ্রিস ফরাজী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আমরা ইতালি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি! আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে কোন অপশক্তিই জননেত্রীর উন্নয়নের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবেনা।
মজিবুর রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনা মানেই বাংলাদেশ। আজ দেশ যে গতিতে এগিয়ে চলছে তা দেখে বিশ্ব অবাক। আজ বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে অনেক এগিয়ে গেছে এর একমাত্র অবদান জননেত্রী শেখ হাসিনার। তিনি যদি আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব না নিতেন তাহলে ইতিহাসের মোড় অন্যভাবে হতো, তিনি বাংলাদেশে এসেছেন বলেই বাংলার মানুষ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলো।
বিশিষ্ট কলামিস্ট এবং সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ সভাপতি এম নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১২ বছরে বদলে গেছে বাংলাদেশ। একজীবনে একজন মানুষের পক্ষে যা করা সম্ভব, তারচেয়ে বেশি জননেত্রী শেখ হাসিনা করে ফেলেছেন। তিনি এই দেশকে বিশ্বদরবারে একটি পরিচিতি দিয়েছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নয়, দেশে ফিরেছিল বাংলাদেশ।
বক্তারা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ৬ বছর পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশের মাটিতে ফিরে বাংলাদেশআওয়ামী লীগের হাল ধরেন এবং সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশ ও জনগণের কল্যাণে ব্রত হয়ে কাজ শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে জীবনের মায়া ত্যাগ করে সকল প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে ধীরে ধীরে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষে কাজ করেন।এবং বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে সুমহান মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে।
নেতারা আরও বলেন, তিনি যদি দেশে না ফিরে আসতেন এবং আওয়ামী লীগের দায়িত্ব না নিতেন তাহলে দেশ হয়তো পাকিস্তানের আদলে থাকতো। বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে এটি সম্ভব হয়েছে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টা, বিচক্ষণতা ও অসীম ধৈর্য্য ও সাহসিকতার জন্য।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ইতালি আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, রোম মহানগর আওয়ামী লীগ, লোম্বারদিয়া আওয়ামী লীগ, নাপোলি, মোনফালকোনা, আনকোনা, ভেনিস সহ বিভিন্ন প্রভিঞ্চের শাখা কমিটির নেতৃবৃন্দ।