যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের অ্যালেন শহরে বসবাসরত একটি বাংলাদেশী পরিবারের ছয় সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে অ্যালেন পুলিশ। পরিবারের দুই কিশোর সদস্য অন্য চারজনকে হত্যা করে নিজেরাও আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
পুলিশ ওই দুই ভাইয়ের ‘রেখে যাওয়া’ একটি ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করেছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে জানা গেছে, ওই দুই কিশোর হতাশা থেকে মা, বাবা, বোন ও নানীকে হত্যার পর আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে কথিত ওই সুইসাইট নোটে উল্লেখ করেছে। তারা পরিবারের ‘লজ্জা ও কষ্ট’ নিয়ে হতাশায় ভুগছিল।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ১৯ বছর বয়সী যমজ ভাই-বোন ফারহান তৌহিদ ও ফারবিন তৌহিদ, বড় ভাই তানভীর তৌহিদ (২১), মা আইরিন ইসলাম (৫৬), বাবা তৌহিদুল ইসলাম (৫৪), তানভীর তৌহিদের নানি আলতাফুন্নেসা (৭৭)।
অ্যালেন পুলিশ বলছে, মানসিক বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পেতে তাঁরা এই কাজ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পাওয়া গেছে। ঘটনার আগে ফারহান তৌহিদ নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি দীর্ঘ ‘সুইসাইড নোট’ পোস্ট করেছেন। এতে তিনি লিখেছেন, ‘আমি নিজেকে ও আমার পরিবারকে হত্যা করেছি।’
বাংলাদেশী কমিউনিটির লোকজন বলছেন, প্রায় ২২ বছর আগে ডিভি ভিসায় তৌহিদুল ইসলাম আমেরিকায় আসেন। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা পুনান ঢাকায়। পরিবার নিয়ে প্রথম দুই বছর নিউইয়র্কে ছিলেন। ২০ বছর আগে তারা টেক্সাসে স্থানান্তর হন। প্রথমে তথ্যপ্রযুক্তিতে কাজ করলেও সম্প্রতি সিটি ব্যাংকের ভালো পদে কাজ করছিলেন তৌহিদুল।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন