আমেরিকায় দিন দিন বেড়েই চলেছে বন্দুক হামলাসহ সহিংসের ঘটনা। দেশটিতে বিগত এক সপ্তাহে সাতটি বন্দুক হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। এদিকে, কলোরাডোতে বন্দুক হামলার পর এখন স্তব্ধ পুরো বোল্ডার শহর। বোল্ডার শহরে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা নিরাপদে থাকলেও একের পর এক হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত তারা। বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন যথাযথভাবে কার্যকর করার ওপর জোর দিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
জর্জিয়ার আটলান্টায় গত সপ্তাহে তিনটি ম্যাসাজ পার্লার ও স্পাতে ৬ এশীয় নারীসহ ৮ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সপ্তাহ না ঘুরতেই আবার কলোরাডোর বোল্ডার শহরে বন্দুক হামলায় ১০ জন নিহত হন। স্তম্ভিত আমেরিকার মানুষ। বোল্ডার শহরের কাছেই বসবাস করেন বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত। ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
সেই লেখক ও সাহিত্যিক বলেন, ওই শহরে আমরা অনেক দিন বসবাস করেছি। আর যে মার্কেটে ঘটনা ঘটেছে সেখানেও যাওয়া-আসা ছিল। ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়।
কলোরাডোয় বসবাস করা আরেক লেখক মনে করেন, বন্দুক আইন পরিবর্তন এবং অস্ত্র বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এ ধরনের হামলা বন্ধ করা কঠিন।
চলতি মাসের গত ১৬ তারিখ আটলান্টায় ৮ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া ২০ মার্চ টেক্সাসের ডালাসে একটি নৈশক্লাবে বন্দুকধারীর হামলায় এক তরুণী নিহত হন। একই দিন পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় একটি আবাসিক এলাকায় বন্দুকধারীর গুলিতে মারা যান আরও একজন। এসব ঘটনায় আহত হন আরও অনেকে।
আমেরিকায় বর্ণবৈষম্য, বিদেশিদের প্রতি ঘৃণা এবং নারীবিদ্বেষের মতো ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এ ঘটনা গুলোকে আমেরিকা আর মেনে নিতে পারে না। তাহলে কী করবেন বাইডেন? সবাই তাকিয়ে আছেন সেদিকে।