বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে কাতারে দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। করোনা সংক্রান্ত স্থানীয় বিধি-নিষেধ অনুসরণ করে সীমিত পরিসরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের উপর সপ্তাহব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। এ দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য ও গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে জাতির জনকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তার এ ভাষণকে বাঙ্গালি জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ৭ মার্চ একদিকে যেমন ইতিহাসের সৃষ্টি তেমনি অন্যদিকে ইতিহাসের স্রষ্টা যার পরিণতিতে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ২০১৭ সালে জাতিসংঘের মেমরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অভিন্ন সম্পদে পরিণত হয়েছে যা স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে।
এদিকে, নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে অনলাইনে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস ভাষণটি আরবি ভাষায় অনুবাদ নিয়ে একটি পুস্তিকা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে। চলতি মাসের ১০ তারিখ পুস্তিকাটির মোড়ক উন্মোচন করা হবে। এই অনুবাদ কর্মের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আরবি ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী বিশেষত নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে। প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের এই ঐতিহাসিক দিনের সাথে যুক্ত করার লক্ষ্যে আগামী ১০ মার্চ স্থানীয় সময় বিকেল ৫ ঘটিকায় একটি ওয়েবিনারেরও আয়োজন করা হবে।