করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৯ নভেম্বরর সোমবার নিউইয়র্কে মারা গেলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক খায়ের(৬৫)। এর আগে এই সংগঠনের প্রেসিডেন্ট কামাল আহমেদ এবং নির্বাহী সদস্য আজাদ বাকিরও মারা গেছেন করোনায় আক্রান্ত হয়েই। মধ্য মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত নিউইয়র্ক সিটিতে আড়াই শতাধিক প্রবাসীর মৃত্যু হয় করোনা মহামারিতে। সেই সংখ্যায় আরেকজন যুক্ত হলেন। ফলে কমিউনিটিতে একদিকে শোক, আরেকদিকে শংকা তৈরী হলো করোনা নিয়ে।
বাংলাদেশ সোসাইটির জনসংযোগ ও প্রচার সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ সোমবার রাতে হাসপাতাল ও আব্দুল খালেক খায়ের পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে এ সংবাদদাতাকে জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সে সময় চিকিৎসকরা তার হার্টে রিং পড়িয়ে দেন। কিছুটা সুস্থ হলে বাসায় ফিরেছিলেন।
এ সময় তিনি সর্দি-জ্বরসহ অসুস্থবোধ করলে করোনা টেস্ট করা হলে পজিটিভ ধরা পড়ে। ৯ দিন আগে তাকে ভর্তি করা হয় লং আইল্যান্ড জুইশ হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে চারদিন আগে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। এরপর আর জ্ঞান ফিরেনি। সোমবার সন্ধ্যায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে এবং দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমের প্রথম জানাজা নামাজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১১ টায় তার গড়া মসজিদ আল-তাউফিকে এবং দ্বিতীয় জানাজা নামাজ লং আইল্যান্ডে ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল গোরস্থানে দাফনের আগে অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানেই তার ক্রয়কৃত নিজস্ব কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
নোয়াখালীর সন্তান নিউইয়র্কে বহুবছর যাবত বসবাসরত আব্দুল খালেক খায়েরের মৃত্যুতে বাংলাদেশ কমিউনিটিতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তার মৃত্যুতে সোসাইটির কার্যকরী পরিষদ ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা এবং সোসাইটির নির্বাচন কমিশনের সদস্যবৃন্দ গভীর শোক এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
এক শোকবার্তায় তার আত্মার মাগফেরাত কামনায় সকল প্রবাসীর দোয়া চেয়েছেন সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রুহুল আমিন সিদ্দিকী, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম আজিজ প্রমুখ।
করোনার তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। তাই সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার। স্কুলগামী শিশু-কিশোরদের ব্যাপারে অধিকতর যত্নবান হবারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।