লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিজদাহে হামলার শিকার গুরুতর আহত ৯ বাংলাদেশি অভিবাসীসহ লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৬৪ জন অভিবাসী। গত ২৮ মে (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সময় রাত নয়টার দিকে লিবিয়ার মিজদা শহরে এই হত্যাকাণ্ড চালায় আন্তর্জাতিক পাচারকারীর সদস্যরা। পাচারকারীদের গুলিতে ৩০ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। সেই সময় গুরুতর আহত হন ১১ জন বাংলাদেশি অভিবাসী।
এ তথ্য আজ শনিবার (০৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে তাদের দেশে ফেরত আনা হয়। আগত ফ্লাইটে ১০০ জন বিপদাপন্ন অভিবাসী ছিলেন, যাদের মধ্যে ৩৯ জন শারীরিকভাবে অসুস্থ। অভিবাসীদের তাৎক্ষণিক সহায়তার জন্য তাদের সঙ্গে ভ্রমণ করেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) স্বাস্থ্য সেবাদানকারীরা। সরকার নির্ধারিত কোয়ারেন্টিন শেষে অসহায় অভিবাসীদের একত্রীকরণে সহায়তা দেবে আইওএম। লিবিয়ায় অসহায় অবস্থায় থাকাকালে ফিরে আসা অভিবাসীরা শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা পাবেন।
মিজদাহে হামলার শিকার বাংলাদেশি অভিবাসী মোহাম্মদ সৈয়দ খান বলেন, এই ঘটনা আমি কিছুতেই ভুলতে পারছি না। আমার কাছে এটা দুঃস্বপ্নের মতো মনে হয়। আমার শরীরে গুলি লাগার চার মাস পর আমি দেশে ফেরার মতো সুস্থ হই। আমি সহ অনেকেই এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি এবং আমরা এখনো আতঙ্কিত। লিবিয়াতে আমাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও সহায়তা এবং ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় আমি আইওএম এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।
আইওএম বাংলাদেশ-এর মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, কোভিড-১৯ সমগ্র বিশ্বের অভিবাসী কর্মীদের বিপদাপন্নতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। অবরুদ্ধ এবং অসহায় অভিবাসীদের সহায়তায় এগিয়ে যেতে আমরা চলাচলসহ নানা নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ওঠার জন্য কাজ করে চলেছি। অভিবাসীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, আশ্রয়, খাদ্য, কনস্যুলার সেবা এবং সর্বোচ্চ বিপদাপন্নদের জন্য দেশে ফেরত আনার ফ্লাইট নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সাথে, বিশেষ করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাথে একত্রে কাজ করে যাচ্ছি।