কানাডার অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়।
এছাড়া তাদের সুযোগ্য সন্তান শহীদ শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রথমেই ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী যথাক্রমে উপ-হাইকমিশনার চিরঞ্জীব সরকার ও কাউন্সিলর মো. সাখাওয়াৎ হোসেন পাঠ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অত্র মিশনের প্রথম সচিব মিস অপর্ণা রানী পাল।
এ সময় মিশনের অন্যান্য সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। বাণী পাঠ শেষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও শহীদ শেখ কামালের ওপর নির্মিত পৃথক দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর পর একটি বিশেষ ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কানাডাতে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ড. সৈয়দ সাজ্জাদুর রহমান, অধ্যাপক ওমর সেলিম শের, রাশেদা নেওয়াজ, মিস. মমতা দত্ত, সাংবাদিক কবির চৌধুরী, শাহ বাহাউদ্দিন শিশির, রিয়াজ উজ জামান ও হাসান জামান অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই হাইকমিশনার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
হাইকমিশনার বলেন, ইতিহাসে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেবল একজন সাবেক রাষ্ট্রনায়কের সহধর্মিণীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে অন্যতম এক নেপথ্য অনুপ্রেরণাদাত্রী। বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি বঙ্গবন্ধুকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন। ছায়ার মতো অনুসরণ করেছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে।
তিনি আরও বলেন তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যখনই প্রয়োজন হয়েছেন, তখনই সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় আওয়ামী লীগ ও নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন তিনি। আন্দোলনের সময়ও তিনি প্রতিটি রাজনৈতিক ঘটনা জেলখানায় দেখা করার সময় বঙ্গবন্ধুকে অবহিত করতেন। সেখানে বঙ্গবন্ধুর পরামর্শ শুনে তা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের জানিয়ে দিতেন বঙ্গমাতা।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শহীদ শেখ কামালসহ পরিবারের নিহত সকল সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় ।