ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে জাল কাগজপত্র দিয়ে করোনা-স্টিমুলাস প্রোগ্রামের দেড় মিলিয়ন ডলার উঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পালানোর সময় তারেক জাফর (৪২) এবং তার স্ত্রী মনিকা ম্যাগডালেনা জায়োর্স্কাকে (৪৩) এফবিআই গ্রেফতার করেছে। করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে ফেডারেল প্রশাসন ৩০ বছর মেয়াদি ঋণ (যা পরিশোধ করতে হবে না, শর্ত মেনে ব্যয় করলে) বিতরণ করছে।
ভার্জিনিয়ার ইউএস এটর্নি অফিস জানিয়েছে, আলেক্সান্দ্রিয়া সিটির এ্যাশবার্নের এই দম্পতি নিজেদেরকে মোট ১৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে ট্যাক্স প্রদানের কাগজপত্রসহ করোনা-রিলিফের আওতায় ‘পে-চেক প্রটেকশন প্রোগ্রাম (পিপিপি)’ এর ঋণের জন্যে আবেদন করেন গত এপ্রিল এবং মে মাসে। মোট ১২টি ঋণ-প্রদানকারি সংস্থায় (ব্যাংক) তারা আবেদন করেছেন। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ট্যাক্স প্রদানের যে ডক্যুমেন্ট সাবমিট করা হয়েছে তা ভুয়া।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, করোনা মহামারিতে পর্যুদস্ত এসব প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারিকে পুনরায় কাজে যোগদানের স্বার্থে তথা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঘুরে দাঁড়ানোর অভিপ্রায়ে পিপিপি’র আওতায় অনুদান ও ঋণ প্রয়োজন। কংগ্রেসে পাশ হওয়া বিধি অনুযায়ী স্বল্পতম সময়ে এই ঋণ আবেদন মঞ্জুর এবং অর্থ প্রদানের নির্দেশ রয়েছে। তাই তারা আবেদনের পরই ১৮টির মধ্যে ৪টির বিপরীতে ১৪৩৮৫০০ ডলারের মঞ্জুরি পান। এরইমধ্যে আইআরএস (ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিস) প্রাথমিক পর্যবেক্ষণেই জাল কাগজপত্রের সন্ধান পেয়ে অপর আবেদনগুলোর স্থগিতাদেশ দেয়। এ ঘটনা আঁচ করতে পেরেই জাফর ও তার স্ত্রী ওয়ানওয়ে টিকিট ক্রয় করে ২০ জুন পোল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের চেষ্টা করেছিলেন।
আদালত সূত্রে আরও জানা গেছে, ১৮টি প্রতিষ্ঠানের একটিরও অস্তিত্ব নেই। অর্থাৎ সুপরিকল্পিতভাবে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যে বরাদ্দৃত অর্থ আত্মসাতের ফাঁদ পেতেছিলেন তারা।
এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে উভয়ের সর্বোচ্চ ২০ বছর করে কারাদণ্ড হতে পারে বলে ইউএস এটর্নি জি য্যাকারি টারউইলজার জানিয়েছেন।