রোজা মানেই সৌদি আরবে ভিন্ন কিছু। সেহরি আর ইফতারকে ঘিরে ব্যাপক আয়োজন। মসজিদগুলোতে তারাবিহ নামাজের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি। বড় বড় প্রতিষ্ঠান আর ধনাঢ্য ব্যক্তিদের উদ্যোগে জায়গায় জায়গায় তাঁবু খাটিয়ে রোজাদারদের ইফতারের আয়োজন। তাছাড়া মক্কা এবং মদীনার পবিত্র দুই মসজিদে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইফতার আয়োজন। সারারাত কর্মযজ্ঞ আর ফজরের নামাজ পড়ে যোহর পর্যন্ত ঘুম। রাস্তাঘাট আর বিপণীবিতানগুলোতে বর্ণিল আলোকসজ্জা। শপিংমলগুলোতে ডিসকাউন্টের ছড়াছড়ি।
ইতিহাস আর ঐতিহ্য ধরে রেখে রোজা পালনের সকল পরিকল্পনা আর স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে মহামারী করোনাভাইরাস। রাষ্ট্রীয়ভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মসজিদে নামাজ আদায়। গণজমায়েত এড়িয়ে বাসায় ইফতার আয়োজনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মক্কা এবং মদীনার মসজিদুল হারাম আর মসজিদে নববীতে ইফতারের যে আয়োজন রাষ্ট্র করে থাকে সেটি এবার বিতরণ করা হবে দুই শহরের বাসিন্দাদের মাঝে।
চাদঁ দেখা সাপেক্ষে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হতে পারে পবিত্র রমজান মাস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রমজান মাসের চাঁদ দেখার আহবান জানিয়েছে সৌদি আরবের রাজকীয় আদালত।
মধ্যপ্রাচ্যে ৩২ বছর আর শুধু সৌদিতেই ২০ বছর যাবত থাকা কুমিল্লার লালমাই উপজেলার প্রবাসী মাওলানা আবু তাহের বলেন, ভিন্ন এক রমজান মাসের মুখামুখি হতে যাচ্ছি। অতীতের বছরগুলোতে সবাই মিলে একসাথে সেহরি এবং ইফতার আয়োজন হতো। এবার করোনা সংক্রমণের কারণে একা সেহরি, ইফতার এবং তারাবীহ আদায় করতে হবে।
তিনি বলেন, আল্লাহ দরবারে একটাই প্রার্থনা এই রমজানকে উছিলা করে করোনা নামক মহামারি থেকে সবাইকে রক্ষা করুন।
সাইফুল নামে অপর এক বাংলাদেশি বলেন, বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে রমজানে সবচেয়ে বেশি মানুষ উমরাহ পালন করতো। কিন্তু এবার করোনার বিস্তাররোধ করতে সরকার উমরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। আমাদের আয় রোজগারও বন্ধ।