অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে মালয়েশিয়ার সেগি ইউনিভার্সিটির ২১তম ও ৪র্থ গ্র্যাজুয়েশন সমাপনী। আর এ সমাপনী অনুষ্ঠানে ব্যাচেলর অব হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ও ডিপ্লোমা ইন হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে শিক্ষা সম্পন্ন করা ৩০ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকেও সনদ প্রদান করা হয়।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় কোটা দামানসারা ইউনিভার্সিটির মাল্টি পারপাস হল রুমে শুরু হওয়া সমাপনী অনুষ্ঠানটি চলে বেলা ১টা পর্যন্ত। সেগি ইউনিভার্সিটি ২১তম গ্র্যাজুয়েশন ও সেগি কলেজের ৪র্থ গ্র্যাজুয়েশন সমাপনীতে ৬৭০ জন শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র হস্তান্তর করেন সেগি ইউনিভার্সিটির ভাইস ড. চ্যান্সেলর পেটরিক কি ও সেগি কলেজের প্রিন্সিপাল নূরমেন চিউ সু জিউন।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়তই দেশের মান উজ্জ্বল করে চলেছেন শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মধ্য দিয়ে। এশিয়ার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ মালয়েশিয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কাঙ্খিত শিক্ষা অর্জনের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করছেন।বাংলাদেশী শিক্ষার্থী কুমিল্লার আবরার মোস্তাফা। ২০১৬ সালের মে মাসে ব্যাচেলর অব হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে ভর্তি হয়েছিলেন। দীর্ঘ সাধনার পর সম্মানের সহিত গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন।
খন্দকার আবরার মোস্তাফা বললেন, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া হতে পারে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার চমৎকার ও সাশ্রয়ী গন্তব্য। মানের দিক দিয়ে দেশটিতে উচ্চশিক্ষা এখনও এশিয়ার চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের পর্যায়ে না গেলেও মালয়েশিয়া এ বিষয়ে বেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সর্বপরি একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমি গর্বিত।
আরেক শিক্ষার্থী রিয়াজ চট্রগ্রামের সন্তান । তিনিও ব্যাচেলর অব হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে সনদপত্র হাতে পেয়ে বললেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মালয়েশিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা আরও একধাপ এগিয়ে। এখানে একধাপ এগিয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও। পড়াশোনার পাশাপাশি অনেক দেশের শিক্ষার্থীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছে।
তিনি বলেন, জানতে পেরেছি তাদের দেশের কৃষ্টি, আচার-আচরণ। তাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি আমাদের দেশের কৃষ্টি কালচার। সবকিছু মিলিয়ে একটা মিশ্র অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে। আজ শ্রেষ্ঠত্বের সনদপত্র পেয়েছি আমার খুব আনন্দ লাগছে।
লন্ডন প্রবাসী সিলেটের বিশ্বনাথের দৌলতপুর গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়ে বৃষ্টি খাতুন (২১)। সেগি কলেজের ২০১৮/২০১৯ শিক্ষার্থী রিপ্রেজেন্টেটিভ কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান, সেগি অ্যাডভেঞ্চার গার্লস ক্লাবের ফাউন্ডার। ফুড ফেস্টিভ্যালে মালয়েশিয়ার বাহিরে শ্রীলঙ্কা ও দুবাই গিয়েছেন। প্রতিনিধিত্বও করেছেন।
তিন তিনবার শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেয়েছেন বৃষ্টি খাতুন। ফোর্থ গ্র্যাজুয়েশন সিরিমনি নন একাডেমিক্যাল মোস্ট অ্যাক্টিভ বেস্ট স্টুডেন্ট অ্যাওয়ার্ডস পেয়েছেন বৃষ্টি খাতুন। ট্যুরিজম হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট কোর্স সম্পন্নের সনদপত্র হাতে পেয়ে বৃষ্টি তার সাফল্যের কথা এ প্রতিবেদকের কাছে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, একটু মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করায় ভালো রেজাল্ট পেয়েছি। বৃষ্টি খাতুনের বিশ্বাস একজন ভালো শিক্ষার্থী পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় গিয়ে ঠেকবে না। তারা নিজের মতো করে মানিয়ে নিতে পারবে। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক ভালো স্টুডেন্ট এখানে আসেন। মালয়েশিয়া দিনেদিনে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নত বিশ্বের দিকে। আমরাও অমাদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে এগিয়ে যাব উন্নত বিশ্বের দিকে