পারিবারিক কোটায় ভিসার গ্যারান্টি হিসেবে সংশ্লিষ্টরা যুক্তরাষ্ট্রে এসেই হেলথ ইন্স্যুরেন্স করবেন অথবা নিজস্ব অর্থে চিকিৎসা নিতে পারবেন বলে নিশ্চয়তা বিধানের যে রীতি ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা করেছে, তা বলবৎ হবার আগের দিন অর্থাৎ ২ নভেম্বর শনিবার ওরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ডের ফেডারেল জজ থামিয়ে দিলেন।
ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ মাইকেল সাইমন (U.S. District Judge Michael Simon) ট্রাম্পের ওই নতুন বিধির বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৭ জন সিটিজেন এবং একটি অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে বুধবার দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করেছেন যে, নতুন এই বিধি বলবৎ হলে পারিবারিক কোটায় অভিবাসন মর্যাদায় যুক্তরাষ্ট্রে আসার সম্ভাবনা রয়েছে এমন বিদেশির দুই তৃতীয়াংশই ভিসা পাবেন না (Seven U.S. citizens and a nonprofit organization filed the federal lawsuit Wednesday contending the rule would block nearly two-thirds of all prospective legal immigrants. )।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ট্রাম্পের ইচ্ছার পরিপূরক এই রীতি কার্যকর হলে পারিবারিক কোটায় যুক্তরাষ্ট্রে আসার পথে থাকা অসংখ্য মানুষের সে প্রত্যাশা ধুলায় মিশে যাবে এবং প্রতি বছর এ কোটায় আসার যে সংখ্যা স্থির করা আছে তাও অপূর্ণ রয়ে যাবে।
বাদিপক্ষের এটর্নি ইসথার সাং (জাস্টিস এ্যাকশন সেন্টারের সিনিয়র আইনজীবী) এই নিষেধাজ্ঞার আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ট্রাম্পের বিদ্বেষমূলক মনোভাবের বিরুদ্ধে আদালতের সুচিন্তিত এ সিদ্ধান্তের জন্য আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।
ট্রাম্পের এই রীতি বহাল হলে অসংখ্য আমেরিকানের নিকটাত্মীয়রা পরিবারের সঙ্গে মিলিত হবার সুযোগ থেকে চরমভাবে বঞ্চিত হয়ে পড়তেন, মন্তব্য করেন এটর্নি ইসথার।
উল্লেখ্য, এ সম্পর্কিত একটি ঘোষণাপত্রে ট্রাম্প স্বাক্ষর করেছেন অক্টোবরের প্রথমার্ধে। এটি বলবৎ হবার কথা ৩ নভেম্বর রবিবার থেকে। একে থামিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলে পারিবারিক কোটায় যুক্তরাষ্ট্রে আসতে আগ্রহীদের প্রমাণপত্র দিতে হতো যে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ৩০ দিনের মধ্যেই তারা হেলথ ইন্স্যুরেন্স করতে সক্ষম হবেন অথবা নিজস্ব অর্থে চিকিৎসা গ্রহণে কোনও সমস্যা হবে না, যে সামর্থ্য তাদের রয়েছে। এটি ছিল ট্রাম্পের এযাবৎকালের সর্বশেষ একটি পদক্ষেপ অভিবাসনের বিরুদ্ধে। এর আগে, আরও কয়েকটি পদক্ষেপকে আইনি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ এই বিধি কার্যকর হলে প্রতি বছর হাজার হাজার বাংলাদেশির পক্ষে পারিবারিক কোটায় যুক্তরাষ্ট্রে আসার সুযোগ সংকুচিত হয়ে পড়ত বলে জানিয়েছেন অভিবাসন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।