ছেলের বউকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন ৬২ বছর বয়সী ছোটা সিং। বিয়ে করার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু বউতো ছেলের। তাই ছেলে রাজবিন্দর সিং-কে হত্যা করে পথের কাঁটা সরাতে চেয়েছিলেন ছোটা সিং। ঘটনাটি ভারতের ফরিদকোটের জাইতু সাব ডিভিসনের ডাবরি খানা গ্রামে।
৪০ বছর বয়সী ছেলে রাজবিন্দরকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বাবা ছোটাকে।
ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ১৮ টিভির খবরে বলা হয়, ছেলে রজবিন্দর সিং নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন৷ সেই সময় ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাবা ছোটা আঘাত করেন৷
খুন করার পর তিনি ছেলের দেহ টুকরো টুকরো করে কাটেন৷ যাতে বিভিন্ন জায়গায় দেহের টুকরো সহজেই লুকিয়ে ফেলতে পারেন৷ তিনি প্লাস্টিকে প্লাস্টিকে দেহ ভরে নোংরা ফেলার জায়গায় সেটা ফেলেও দেন৷
অভিযুক্তের বড় ছেলে জানিয়েছেন, যখন প্লাস্টিকে করে দেহ ফেলতে দেখতে চাইছিলেন তখন তাদের এক আত্মীয় ঘুম থেকে উঠে রক্তের দাগ দেখতে পান৷ তিনিই পুলিশকে ঘটনাটি বলে দেন৷
রাজবিন্দরের সঙ্গে জসবীর কৌরের ১২ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল৷ তাদের দু‘টো ছেলেও আছে৷ জসবীরের জন্যেই এভাবেই নিজের ছেলেকে মেরে ফেললেন তিনি৷ তার বিরুদ্ধে সেকশন ৩০২(খুন), ২০১(তথ্য প্রমাণ লোপাট) করার চার্জ দায়ের করা হয়েছে৷