ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থগিত ৩ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে স্থগিত তিনটি কেন্দ্রে পুনঃভোট গ্রহণ চলছে।

আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

ভোটকেন্দ্র তিনটি হচ্ছে- উপজেলার যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই তিনটি কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ১০ হাজার ৫৭৪ জন।

এদিকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন অফিস। এ লক্ষ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্থগিত তিনটি কেন্দ্রে ৩৩৯ জন পুলিশ ও ১৩৬ জন আনসার এবং দুই প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে। তিনটি কেন্দ্রে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দোলা খান বলেন, ‘আমি তিনটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।’

এ আসন মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগ ছেড়ে দেওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ১৩ জন।

জাতীয় পার্টি থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকে মনোনয়ন না দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয় অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার জামাতা জাতীয় পার্টির বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়াকে। মনোনয়ন না পেয়ে অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরে জামাই রেজাউল পান লাঙ্গল প্রতীক এবং শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধা পান সিংহ প্রতীক। নানান নাটকীয়তার পর নির্বাচনের মাত্র দুদিন আগে ২৮ ডিসেম্বর বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল ইসলাম ভূইয়া তার শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধাকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

নির্বাচনে বিএনপির আব্দুস সাত্তার ভূইয়া (ধানের শীষ প্রতীক) ৮২ হাজার ৭২৩ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মঈন উদ্দিন মঈন (কলার ছড়া প্রতীকে) ভোট পেয়েছেন ৭২ হাজার ৫৬৪ ভোট। অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা (সিংহ) পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩০৫ ভোট।

গত ৩০ ডিসেম্বর গোলযোগ ও অনিয়মের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

Scroll to Top