সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের প্রথম প্রয়াণ দিবস আজ। ২০১৬ সালের এই দিনে ৮২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন দেশ বরেণ্য এ লেখক। সৈয়দ হকের প্রয়াণ দিবসকে ঘিরে কুড়িগ্রামে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও জেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচীর আয়োজন করেছে।
সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামে। হোমিও চিকিৎসক সৈয়দ সিদ্দিক হোসেন ও মা নুরজাহানের ৫ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। ধরলা নদীর পাড়ে শৈশব কাটানো এ লেখক শহরের রিভারভিউ স্কুলে পড়ালেখা করেছিলেন নবম শ্রেনী পর্যন্ত।
লেখাপড়ার পাশাপাশি সমান মনোযোগী ছিলেন লেখালেখিতে। তার পদচারনা ছিলো গল্প, কবিতা, গান ও নাটকসহ সাহিত্যের সকল অঙ্গনে। গুনী এ লেখক তার অনন্য সাহিত্য কর্মের মধ্য দিয়েই বেঁচে থাকবেন মানুষের মধ্যে।
সব্যসাচী এ লেখককে তার জন্ম শহর কুড়িগ্রামের কলেজ মাঠে সমাহিত করায় গর্বিত এই কলেজের শিক্ষার্থীরা। সমাধিকে ঘিরে স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মিত হলে বহুমাত্রিক এ লেখককের সাহিত্য চিন্তা সমৃদ্ধ করবে শিক্ষার্থীসহ দেশের সকল সাহিত্য অনুরাগীদের।
ইতোমধ্যে তার সমাধি স্থল পরিদর্শন করে এক একর জমির উপর সৈয়দ শামসুল হক স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণের সরকারি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
বাংলাদেশ সময় : ১২২৬ ঘণ্টা, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/ডিএ