কলেজ ছাত্রীকে জোরপূর্বক দলবেঁধে ধর্ষণ : ৩ জনের যাবজ্জীবন

নাটোরের লালপুরে লাবনী আকতার (১৬) নামে এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের দায়ে তিন যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে পৌনে ৫টার সময় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো: হাসানুজ্জামান এ আদেশ দেন।

অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলায় অপর আটজন আসামীকে খালাস দেন বিচারক।

দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন, বাগাতিপাড়া উপজেলার নন্দিকুজা গ্রামের বিকাশ চন্দ্রের ছেলে পুলক কুমার (২০), একই উপজেলার তমালতলা গ্রামের আমিন উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হালিম (২২) ও লালপুর উপজেলার ধুপইল গ্রামের এনামুল হক সরকারের ছেলে এনায়েত উল হক ওরফে রিয়াদ (২১)।

খালাস প্রাপ্তরা হলেন, বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে বেলাল হোসেন (২২), শাহ আলমের ছেলে জালাল উদ্দিন (২১), আহম্মদ আলীর ছেলে মুকুল হোসেন (২০), ভাকদিঘা গ্রামের আয়েজ উদ্দিনের ছেলে বাবু (১৯), লালপুর উপজেলার ধুপইল গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে নাজমুল ইসলাম (২১), মিশ্রিপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আতউর রহমার সুবজ (২০), ধুপইল গ্রামের খোরশেদ আলমের মেয়ে শান্তা (১৬) ও একই গ্রামের আনসার আলীর ছেলে সাদিয়া (১৫)।

নাটোর নারী ও শিশু আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিউকিটর অ্যাডভোকেট শাজাহান কবির এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ২০০৭ সালের ১৪ অক্টোবর বেলা ১১টার সময় বাগাতিপাড়ার দয়ারামপুর কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজের এইচএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্রী লাবনী আকতারকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে রিয়াদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আটক রেখে আসামীরা জোরপূর্বক তাকে গণধর্ষণ করে।

পরে এই ঘটনায় লাবনী আকতার বাদি হয়ে তার দুই বান্ধবীসহ ১১জনকে আসামী করে গত ২২ নভেম্বর লালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি ও স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক তিন জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন।

অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর ৮ আসামীকে খালাস দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, ৭ নভেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে