৭ খুন মামলার পিপির মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যাচেষ্টা

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকনের মেয়ে মায়শা ওয়াজেদ খোকনের (১৭) মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের বিপরীতে একটি কোচিং সেন্টার থেকে বের হওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবার।

আহত মায়শা ওয়াজেদ খোকনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জেলা আদালতে পিপি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, মেয়ে নারায়ণগঞ্জ এডিসি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের এ লেভেলের ছাত্রী। বুধবার সন্ধ্যায় ওই এলাকার তৌফিক ম্যাথস নামে একটি কোচিং সেন্টারে পড়তে যায়। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় কয়েকজন যুবক তার গতিরোধ করে।

পরে ওই যুবকরা আমার মেয়েকে বলে, তোমার বাবা গতকাল একটা ভালো কাজ করেছে। সে ভালো আইনজীবী। সে ভালো কাজ করেছে। তাই তোমাকে মিষ্টি খাওয়াব। তখন তৃপ্তি মিষ্টি খেতে অনীহা প্রকাশ করে। একপর্যায়ে তারা একটি পলিথিন থেকে কিছু বের করে মিষ্টি খাও বলে জোর করে কিছু একটা তার মুখে পুরে দেয়।

অ্যাডভোকেট খোকন আরও বলেন, পরে সেখান থেকে দৌড়ে দূরে গিয়ে ফোনে বিষয়টি আমাকে অবহিত করে। তবে এর আগেই স্থানীয়রা জড়ো হলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেন শাহ পারভেজ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলেও পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে মেয়েটিকে ঢামেকে পাঠানো হয়।

ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. একেএম তারেক বলেন, স্বজনদের বক্তব্য অনুযায়ী মেয়েটির স্টমাক ওয়াশ করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থলে যাওয়া নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, আমরা প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার থেকে জেনেছি তিন যুবক এসে মায়শা ওয়াজেদকে বিষাক্ত কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করেছে। বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি।

গতকাল মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলায় সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১-এর চাকরিচ্যুত সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানাসহ ১৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে নিম্ন আদালতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ১১ জনের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দেয়া হয়। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের দণ্ড ঘোষণা করেছেন আদালত।

এছাড়া ৩৫ আসামির মধ্যে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে দেয়া সাজায় দণ্ডপ্রাপ্ত নয়জনের দণ্ডও বহাল রাখা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্ট ২৪ আগস্ট ২০১৭,

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস