বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বেশ একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি টাইগাররা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ক্যাচ মিসে দিন শেষ করলো টাইগাররা। ইন্দোর টেস্টে বাংলাদেশের ১৫০ রানের জবাবে ১ উইকেটে ৮৬ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছে ভারত। তাতে ৬৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শুরু করবে বিরাট কোহলির দল।
ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫০ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন মুশফিকুর রহিম। এদিকে, ব্যাটিংয়ে নেমে খুব ধীরেসুস্থে শুরু করেন ভারতীয় দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল আর রোহিত শর্মা। তবে দলীয় ১৪ রানের মাথায় রোহিত শর্মাকে দুর্দান্ত সুইংয়ে সাজঘরে ফেরান আবু জায়েদ রাহী। আউট হওয়া আগে ১৪ বলে ৬ রান করেন রোহিত।
এরপর চেতেশ্বর পূজারা আর আগারওয়াল বেশ দেখেশুনে খেলেছেন। তবে দিনের শেষ সময়ে আরও একটি উইকেট পকেটে পুড়তে পারতেন রাহী। ২৪তম ওভারে প্রথম স্লিপে দাঁড়িয়ে আগারওয়ালের ক্যাচ হাতে নিয়েও ফেলে দেন ইমরুল কায়েস।
দিনশেষে ওই ক্যাচ মিসের আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। আগারওয়াল অপরাজিত আছেন ৩৭ রানে। সাথে চেতেশ্বর পূজারার রার ৪৩।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ান মুমিনুল হক। ধীরে ধীরে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তারা। তবে দলীয় ৯৯ রানে অশ্বিনের বলে বোল্ড হয়ে মুমিনুল সাজঘরে ফিরলে বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা।
৮০ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৩৭ রান করেন এ ম্যাচে নেতৃত্ব পাওয়া এই বাঁহাতি। চতুর্থ উইকেটে ৬৮ রান যোগ করেন মুমিনুল ও মুশফিক।
অশ্বিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমুদুল্লাহ। দলীয় ৪৬ ওভারের প্রথম বলে ডানহাতি এই স্পিনারের বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। ৩০ বলে ১০ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এরই সঙ্গে পঞ্চম উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের।
৫৪তম ওভারের পঞ্চম বলে পেসার মোহাম্মদ শামীর বল ছেড়ে দিলে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। ১০৫ বলে ৪৩ করা এই ব্যাটসম্যান ৪টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান। পরের বলেই এলবি হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ (০) ফিরলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে দ্বিতীয় সেশন শেষে মাঠ ছাড়েন শামি।
তৃতীয় সেশনে মাঠে ফিরেই ইশান্ত শর্মার শিকারে পরিণত হন লিটন দাশ। ৩১ বলে ২১ করা এই ব্যাটসম্যান স্লিপে থাকা বিরাট কোহলিকে ক্যাচ দেন। এরই সঙ্গে বাংলাদেশের শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের পতন হয়।
বাংলাদেশের ইনিংসে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এবাদন হোসেন যাদবের বলে বোল্ড হন ব্যক্তিগত দুই রানে। তার আগে রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন তাইজুল ইসলাম। আবু জায়েদ ৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান মোহাম্মদ শামী। আর দুটি করে উইকেট ভাগ করে নেন ইশান্ত, যাদব ও অশ্বিন।