বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের উইন্ডি টাউন হলে সকল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের জন্য ‘উদ্ভাবনী অগ্রযাত্রায় আমার গ্রাম-আমার শহর’- বিষয়ক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও এটুআই এর যৌথ আয়োজনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এনএম জিয়াউল আলম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এবং মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান।
সমাপনী অধিবেশনে প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) ড. মো: আব্দুল মান্নান।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ইউনিয়ন ভিত্তিক ভূমি অফিস গুলোকে দ্রুততার সঙ্গে ফাইবার কানেক্টেড করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আমরা জাতীয় পর্যায়ের ট্রেনিং প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণকারীদের কর্মসংস্থানের জন্য মূলধন সরবরাহের পরিকল্পনা করছি।
জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আইসিটি ইনকিউবেটর স্থাপন করে সেটিকে একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ ও স্থানীয় পর্যায়ে ফ্রিল্যান্সার তৈরির কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। এর মাধ্যমে দেশের বেকার জনগোষ্ঠী চাকরির পিছে না দৌড়ে উদ্যোক্তা হিসেবে পরিণত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ তার বক্তব্যে দেশের বেকারদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য গুরুত্ব দিতে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে নিজেদের পারদর্শিতা বৃদ্ধিরও পরামর্শ দেন।
তিনি একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী তিনটি বাতিঘর আমার গ্রাম আমার শহর, তারুণ্যের শক্তি এবং সুশাসনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
কর্মশালার মাধ্যমে ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ বাস্তবায়নে এটুআই এর উদ্যোগ গুলোকে গ্রাম পর্যায়ে বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।
তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে গ্রামে শহরের সুযোগ সুবিধা পৌঁছানোর কার্যক্রমকে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণ কিভাবে আরও বেগবান করতে পারেন তা নিয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। অন্যদিকে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ইউএসএইড এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর সহায়তায় পরিচালিত এটুআই ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
অধিবেশনের শুরুতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এনএম জিয়াউল আলম, ‘উদ্ভাবনী অগ্রযাত্রায় আমার গ্রাম-আমার শহর’- বিষয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন।
অংশগ্রহণকারী বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের নিয়ে সাতটি দল গঠন করা হয়। প্রত্যেকটি দলকে নিয়ে এটুআইয়ের বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে দলীয় আলোচনা করেন এটুআইয়ের বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ। দলীয় ভিত্তিক- গ্রুপ-১: ৩৩৩ ও জিআরএস, গ্রুপ-২: ই-মিউটেশন, ডিজিটাল রেকর্ড রুম ও আরএস খতিয়ান, গ্রুপ-৩: জেলা ব্র্যান্ডিং ও একশপ, গ্রুপ-৪: ডিজিটাল সেন্টার, গ্রুপ-৫: মানব সম্পদ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান, গ্রুপ-৬: ই-নথি ও একসেবা গ্রুপ-৭: আমার গ্রাম আমার শহর বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেয়।
দলীয় আলোচনার পর প্রত্যেক দল থেকে বিষয়ভিত্তিক দলীয় উপস্থাপনায় অংশ নেন প্রত্যেক দলের একজন করে দলীয় প্রতিনিধি। উক্ত দলীয় আলোচনা সমন্বয় করেন এটুআই-এর পরিচালক (ই-সার্ভিস) মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল।
এতে সকল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক-সহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, এটুআই এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।