কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করলেই গণতন্ত্র মুক্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিউটশনে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
স্বাধীনতা দিবসে নেতাকর্মীদের শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করা। তাকে মুক্ত করলেই গণতন্ত্র মুক্ত হবে। আসুন সকল অঙ্গ সংগঠন, সহযোগী সংগঠন আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্ত করি, গণতন্ত্রকে মুক্ত করি।’
সভাপতির বক্তব্যে বর্তমান সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার বারবার বোঝাতে চাচ্ছে, বাংলাদেশের এমন উন্নয়ন হয়েছে যা অতীতে কখনো হয়নি। পৃথিবীর কাছে আজকে তা একটি রোল মডেল হয়ে আছে। কিন্তু আসলে ভেতরটা ফাঁকা। এই উন্নয়ন হলো দুর্নীতির উন্নয়ন। এই উন্নয়নের ফলে কিছু সংখ্যক মানুষ ধনী হয়েছে।’
‘এই সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। এদেরকে সরানো ছাড়া দেশের মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর আবারও নির্যাতন নিপীড়নের মধ্য দিয়ে ছদ্মবেশে একটা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলুণ্ঠিত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘১৯৭১ সালের যে চেতনা ও আদর্শকে সামনে নিয়ে দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আজ সেই চেতনা ভুলুণ্ঠিত হয়েছে। স্বাধীনতার অর্থ শুধু একটি পতাকা ও ভূখণ্ড নয়। স্বাধীনতার অর্থ হচ্ছে এই ভূখণ্ড যারা বাস করে তাদের সার্বিক দিক থেকে স্বাধীনতা। তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, রাজনীতিক স্বাধীনতা এবং তাদের মুক্তির স্বাধীনতা।’
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিদিন তার শরীর খারাপের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।