সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে কাদেরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন তিনি।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জনানো হয়।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভালো আছেন। অস্ত্রোপচারের পর তিনি এখন শঙ্কামুক্ত। তার আইওবিপি মেশিন খুলে ফেলা হয়েছে এবং বাকি সব প্যারামিটার ভালো আছে। তিন-চার দিন পর মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।
সিঙ্গাপুরে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা সমন্বয়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক এবং নিওরোলজিস্ট অধ্যাপক আবু নাসার রিজভী গতকাল বিকেলে মেডিকেল বোর্ডকে উদ্ধৃত করে হাসপাতাল লবিতে উপস্থিত পরিবারের সদস্য ও অন্যদের এসব তথ্য জানান।
এ সময় হাসপাতালের লবিতে অন্যান্যের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ওবায়দুল কাদেরের সহধর্মিণী ইসরাতুন্নেসা কাদের, সেতু বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মীর্জা, উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদেরের কাছে ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন এবং আল্লাহর কাছে আশু রোগমুক্তি কামনা করেন।
গত বুধবার (২০ মার্চ) মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কার্ডিও থোরাসিক সার্জন সিবাস্টিন কুমার সামির নেতৃত্বে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে।
গত ৩ মার্চ গভীর রাতে হঠাৎ শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয় ওবায়দুল কাদেরের। এরপর তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) নিয়ে যাওয়া হয়। এনজিওগ্রাম করার পর তার হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে পরদিন বিকেলে উন্নত চিকিত্সার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়।