বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, অবিলম্বে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং গণবিরোধী গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে না আসলে, রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সাধারণ মানুষের পেটে ছুরি মারতে আবারও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে সরকার। শুধুমাত্র লুটপাটের জন্য বেআইনিভাবে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গতকালও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন স্টেট ডিপার্টম্যান্টের বাৎসরিক মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদনে বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সরকার দুর্নীতির শক্ত প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে বন্দি করে রাখা হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসনকে।
এই প্রতিবেদনে প্রমাণিত হলো, শেখ হাসিনার নির্দেশেই বেগম জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। তার জামিন নিয়ে টালবাহানা করছে, তাকে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এমনকি বেগম জিয়ার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেও দেয়া হচ্ছে না বলে জানান রিজভী।
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, ভারতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি প্রতি ঘনমিটারে ৬ মার্কিন ডলার খরচ পড়লেও, বাংলাদেশে পড়ছে ১০ ডলার খরচ। এটা কেন?
তিনি বলেন, এই টাকা যাচ্ছে রাঘব বোয়ালদের পকেটে। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে বেশুমার দুর্নীতির মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের অর্থ উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত আরেকটু প্রসারিত করার জন্য গণশুনানির কথা বলছে সরকার। এটা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা।
রিজভী আরও বলেন, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির মাশুল দিতে হবে সাধারণ মানুষকে। গ্যাসের দাম বাড়ালে কারখানার বিকাশে বাধাগ্রস্ত হবে। এতে কর্মসংস্থানও বাধাগ্রস্ত হবে। এমনিতে সারাদেশের ঘরে ঘরে বেকার সংখ্যা বেড়েছে, এর ফলে ঘরে ঘরে বেকারের কারখানা তৈরি হবে।