প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৪৬ জন ও স্বতন্ত্র ১৭ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। ভোট গণনা শেষে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা এই ফলাফল ঘোষণা করেন। আওয়ামী লীগের হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছে যারা,
কুড়িগ্রাম: সদরে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগের আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, ভুরুঙ্গামারীতে আওয়ামী লীগের নুরন্নবী চৌধুরী খোকন, নাগেশ্বরীতে আওয়ামী লীগের মোস্তফা জামান, উলিপুরে আওয়ামী লীগের গোলাম হোসেন মন্টু ও চিলমারীতে আওয়ামী লীগের শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম।
জামালপুর: ইসলামপুরে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জামাল আব্দুন নাছের বাবুল। এর আগে সদরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবুল হোসেন, মেলান্দহে ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান, মাদারগঞ্জে ওবায়দুর রহমান বেলাল ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় গিয়াসউদ্দিন পাঠান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।
নেত্রকোনা: সদরে অধ্যাপক তফসির উদ্দিন খান, খালিয়াজুরীতে গোলাম কিবরিয়া জব্বার, মদনে মো. হাবিবুর রহমান, কলমাকান্দায় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক তালুকদার, মোহনগঞ্জে মো. শহীদ ইকবাল (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত) ও কেন্দুয়ায় মো. নূরুল ইসলাম (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়)।
রাজশাহী: গোদাগাড়ী উপজেলায় জাহাঙ্গীর আলম, তানোরে লুৎফর হায়দার রশিদ, বাগমারায় অনীল কুমার সরকার, দুর্গাপুরে মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, পুঠিয়ায় এম হীরা বাচ্চু, চারঘাটে ফকরুল ইসলাম, মোহনপুরে আবদুস সালাম (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত) ও বাঘায় লায়েব উদ্দিন লাবলু (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত)।
সুনামগঞ্জ: সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের খায়রুল হুদা চপল, তাহিরপুরে করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, দোয়ারাবাজারে আবদুর রহিম ও ছাতকে মো. ফজলুর রহমান।
হবিগঞ্জ: বানিয়াচংয়ে আবুল কাশেম চৌধুরী, আজমিরীগঞ্জে মর্তুজা হাসান, চুনারুঘাটে আবদুল কাদির লস্কর ও লাখাইয়ে মুশফিউল আলম আজাদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে।
পঞ্চগড়: সদরে আমিরুল ইসলাম, তেঁতুলিয়ায় কাজী মাহামুদুর রহমান ডাবলু, আটোয়ারীতে মো. তৌহিদুল ইসলাম ও বোদায় অধ্যাপক ফারুক আলম টবি (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত)।
নাটোর: সদর উপজেলায় শলিফুল ইসলাম রমজান (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত), লালপুরে ইসাহাক আলী, সিংড়ায় শফিকুল ইসলাম ও বড়াইগ্রামে ডা. সিদ্দিকুর রহমান।
নীলফামারী: ডোমারে তোফায়েল আহমেদ, ডিমলায় মো. তবিবুল ইসলাম ও সৈয়দপুরে মোকসেদুল মোমিন।
লালমনিরহাট: কালীগঞ্জে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ ও পাটগ্রামে রুহুল আমীন বাবুল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ: সদরে রিয়াজ উদ্দিন ও কাজিপুরে খলিলুর রহমান সিরাজী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে।
জয়পুরহাট: সদরে এস এম সোলায়মান আলী, পাঁচবিবিতে মনিরুল শহীদ মন্ডল, কালাইয়ে মিজানুর রহমান মিলন ও ক্ষেতলালে মোস্তাকিম মন্ডল।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছে কুড়িগ্রাম রাজারহাটে জাহিদ সোহরাওয়ার্দ্দী বাপ্পী ও রাজিবপুরে আকবর হোসেন হিরু, হবিগঞ্জ সদরে মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, নবীগঞ্জে ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম ও বাহুবলে সৈয়দ খলিলুর রহমান, সুনামগঞ্জের ধরমপাশায় মোজাম্মেল হোসেন রুকন, বিশ্বম্ভরপুরে মো. সফর উদ্দিন ও দিরাইয়ে মঞ্জুর আলম চৌধুরী, লালমনিরহাট সদরে কামরুজ্জামান সুজন, জামালপুরের বকশীগঞ্জে আব্দুর রউফ তালুকদার ও দেওয়ানগঞ্জে সোলাইমান হোসেন সোলাই, নেত্রকোনার বারহাট্টায় মাইনুল হক কাসেম ও দুর্গাপুরে জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে শাহ মো. আবুল কালাম বারি পাইলট, নাটোরের বাগাতিপাড়ায় অহিদুল ইসলাম গকুল ও গুরুদাসপুরে আনোয়ার হোসেন এবং জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে আব্দুস সালাম আকন্দ।
বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়ে জয়ী
বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছে হবিগঞ্জের মাধবপুরে সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান ও সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় মো. ফারুক আহমদ।
প্রসঙ্গত, বড় ধরনের কোনো অঘটনা ছাড়াই প্রথম ধাপে শেষ হয় উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে সারা দেশে ১২ জেলার ৭৮ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়। ব্যালট পেপার ছিনতাই, জাল ভোট প্রদানসহ নানা অভিযোগে ১৬টি উপজেলার ২৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় এই উপজেলায় ফল ঘোষণা করা হয়নি।