পথচারীরদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। জনগণের পথচলার সুন্দর পরিবেশ না হওয়া পর্যন্ত হকার উচ্ছেদ কার্যক্রম চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘মাদক, সন্ত্রাস ও অবৈধ দখলমুক্ত করতে করণীয় নির্ধারণ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অবৈধ দখলকারীকে কোন ধরনের প্রশ্রয় দেয়া হবে না উল্লেখ করে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘শুধুমাত্র এই আশেপাশের এলাকায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হকার ছিল। যে কারনে মানুষ হাটতে চলতে পারছিল না। যার ফলে মানুষ সড়ক দিয়ে চলাচল করার কারনে নানা রকম দুর্ঘটনা দেখা দিত। আমারা জনগণের চলাফেরা নির্বিঘ্ন করতে হকার উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’
তিনি বলেন, ‘রমজান মাসে মানবিক কারনে তাদের রাস্তায় ফুটপাতে বসার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা আর ফুটপাত ছাড়ছিল না। তাদের উচ্ছেদের মাধ্যেমে আমরা রাস্তা চলাচল নিরপদ ও নির্বিঘ্ন করতে চাই।’
চকবাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘পুরান ঢাকায় সেসব বাড়িতে-কারখানায় ঝূঁকিপূর্ণ ক্যামিকেল পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসব ক্যামিকেল অপসারণের লক্ষ্যে আগামীকাল থেকে আমাদের অভিযান শুরু হচ্ছে।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। জঙ্গি সন্ত্রাস বিষয়ে সাধারণ মানুষ যেমন সচেতন হয়ে নাগরিক আন্দোলনের মাধ্যেমে তাদের দমন নিয়ন্ত্রণে যেমন আমরা সফল হয়েছিলাম তেমনি মাদকের বিরুদ্ধেও সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
সবাইকে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাদকের স্পট, জড়িতদের সম্পর্কে আমাদের তথ্য দিন আমারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরদের তৎপরতার পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও এ বিষয়ে দায়িত্ব রয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রনে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে আরও কঠোর যুদ্ধে আমরা নামতে চাই।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহম্মাদ ফেরদৌস খান, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব শহিদুজ্জামান, জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা: অরুপ রতন চৌধুরী, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা: মোহিত কামালসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও ডিএসসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ।