১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং জামায়াত বিলুপ্ত করে নতুন দল গঠনের প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে জামায়াতের অন্যতম সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক পদত্যাগ করার পরই দলটি নতুন বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে।
দলের সংস্কার করা না করার প্রশ্নে সুপারিশ তৈরির জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। জামায়াতে ইসলামী নামটি বহাল রেখে সেটিকে সামাজিক সংগঠন হিসেবে পরিচালনা করা হতে পারে এমন কথাও বলা হচ্ছে। আর নতুন নামে নতুন দল রাজনীতি করবে সেটিও ভাবা হচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামীর একজন ঘনিষ্ঠ পর্যবেক্ষক শাহ আব্দুল হান্নান গণমাধ্যমকে বলেছেন, জামায়াত নেতৃত্ব রাজনীতিকে আলাদা করে একটি নতুন দল গঠনের ব্যাপারে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। এই পার্টির মূল লক্ষ্য থাকবে, একটা কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। এই পার্টি আলাদা নামে হবে। মনে করেন, যেমন বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার পার্টি বা বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, এ রকম একটা নাম হবে। এই প্রস্তাব এসেছে। এই নামের সাথে ‘ইসলাম’ শব্দ নাও থাকতে পারে।
দলটির পুরনো বা বয়স্ক নেতাকর্মীরা বিলুপ্ত করতে চান না। এটিও ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পদত্যাগের একটা কারণ ছিল। তিনি মনে করেন, ৭১ সালের ভূমিকার জন্য জামায়াত নামটি বিতর্কিত এবং এটি বিলুপ্ত করা উচিত।
সামাজিক মানে রাজনীতি ছাড়া তারা সব কাজ করবে। যেমন ধরেন, জামায়াতে ইসলামী বই প্রকাশ করা, বই লেখা, প্রকাশনা চালানো, স্কুল কলেজ মাদ্রাসা এবং ক্লিনিক হাসপাতাল- এ ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। মূল কথা হল- জামায়াত সমাজসেবামূলক কাজ করবে। তারা ব্যাপকভাবে এমন কাজ করবে। তারা শুধু জাতীয় রাজনীতির কাজ থেকে সরে আসবে। আলাদা নামে যে নতুন দল হবে, তারা জাতীয় রাজনীতিতে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন শাহ আব্দুল হান্নান।