দলীয় প্রধানের অনুপস্থিতি ও জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবিতে নানামুখী চাপে রয়েছে বিএনপি। তার ওপর শীর্ষ নেতাদের রাজনীতি থেকে অবসর ও নিস্ক্রিয়তায় দলে চাপ আরও বাড়ছে। তবে, রাজনীতি থেকে অবসর নেয়াকে স্বাভাবিক বলছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সেই সঙ্গে, দলের নিবেদিতদের নেতৃত্বে আনার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
গেল বছরের ৮ই ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির দায়ে সাজা পেয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। সেই থেকে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারেই আছেন তিনি।
আর ৩০শে ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে ভরাডুবি দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিকে নানামুখী চাপে ফেলে দিয়েছে। তারওপর রাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান। আর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আসগর লবি।
এ বিষয়ে লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান এক ফোনালাপে জানান, \’রাজনীতিতে আমি এখন সক্রিয় না। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমি মনে করি আমার রাজনীতি থেকে সরে আসা উচিত।\’
তবে, এসব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবেই দেখছে বিএনপি। এ বিষয়ে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ বীর বিক্রম জানান, \’কেউ তো আর সমানতালে যুগ যুগ ধরে রাজনীতি করে যেতে পারেনা। আর রাজনীতিতে তরুণদের মধ্যে আমি কিছুটা অনীহা দেখতে পাচ্ছি।\’
তবে, এই অবস্থা স্থায়ী নয় এবং পরিবর্তন আসবে বলেও জানান বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান।
বিএনপি নেতাদের অবসরে যাওয়া ও নিস্ক্রিয়তার ব্যাপারে যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, \’সারা পৃথিবীতেই কিন্তু পুরোনোরা সরে যায়, নতুনরা সেখানে এসে জায়গা দখল করে নেয়।\’
এসব নিয়ে না ভেবে দলের প্রতি নিবেদিত নেতাদের মূল্যায়নের তাগিদ দিয়েছেন অনেকেই।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, \’রাজনীতিতে কোনও অবস্থান নেই এমন সুবিধাভোগী লোক তারা অবশ্যই আপস করবে। নির্বাচনে কারা বিএনপির পক্ষে কাজ করেছে, কারা বিএনপিতে থেকেই বিরোধীতা করেছে। এরপর সরকারি দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। আর কারা নিরব ছিল এ তিনটা লিস্ট যদি বিএনপি করতে পারে এবং সে অনুযায়ী সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি করতে পারে তাহলে বিএনপি আবার স্বর্ণযুগে প্রবেশ করবে।\’
চাপ কাটিয়ে উঠে বিএনপিকে আরও শক্ত অবস্থানে নিয়ে যেতে কমিটিগুলোর শূন্য পদ দ্রুত পূরণ করারও তাগিদ দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। তথ্য উৎস–ডিবিসি নিউজ
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/বিএনকে