রাজধানীর বেইলি রোডে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় এক জরুরি বৈঠকে বসেছে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। শনিবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে এই বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠকে ড. কামাল হোসেন, সুলতার মনসুর, মোস্তফা মহসীন মন্টু, সুব্রুত চৌধুরী, মোকাব্বির খান প্রমুখ উপস্থিত আছেন।
এর আগে শুক্রবার রাজধানীর মতিঝিলের আরামবাগে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা-৬ আসনের নির্বাচনোত্তর শুভেচ্ছা বিনিময় করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনসহ গণফোরামের শীর্ষ নেতারা। এই সভায় নির্বাচনে গণফোরামের প্রার্থীর জন্য কাজ করতে গিয়ে হয়রানি, মামলা ও হামলার শিকার কর্মীরা নেতাদের পাশে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তারা বলেছেন, ভোটের পর তারা ভয়ে ভয়ে এলাকায় থাকেন। ঢাকা-৬ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী। তার পক্ষে কাজ করা নেতা-কর্মীরা নিজেদের ক্ষোভের কথা জানান। মো. অলি খান নামের এক কর্মী বলেন, ভোটের দিনে সরকার দলীয় নেতা–কর্মীরা তার বাসায় গিয়ে হামলা চালায় এবং এতে তার স্ত্রী আহত হয়। তিনি বলেন, ‘দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই, এই পর্যন্ত কোনো নেতা বলল না কেমন আছি, কেউ আশ্বাস দিল না যে তোমার পাশে আছি। মাঠ পর্যায়ে কাজ করে ভালোবাসা না পেলে কোথায় যাব দাদা?’
উপস্থিত নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবুল কাসেম নামের আরেকজন বলেন, নেতারা জেল থেকে বের হয়ে এলে দল চাঙা হবে। তাদের সহযোগিতা করতে হবে। তিনি অনুরোধ করে বলেন, ‘বন্দী ভাই-বোনদের প্রতি একটু নজর দেন। আটক নেতাদের জামিনের ব্যবস্থা করেন।’ নির্বাচনের পরে কোনো নেতা খোঁজ না নেওয়ার ক্ষোভ প্রকাশ করে মো. সোলেমান নামের এক কর্মী বলেন, ‘কেউ কারও খবর নেয় না। নেতাদের বলতে চাই আমাদের খবর নিয়েন।’
কর্মীদের সহযোগিতা করার জন্য নেতাদের পাশে থাকার আহ্বান জানান আরও কয়েকজন নেতা। নির্বাচনের সময় সরকার দলীয় কর্মীদের দ্বারা হয়রানির শিকার হওয়ার কথা জানান অনেকে। নিজ এলাকায় ভয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে বলেও অনেকেই অভিযোগ করেন। তবে নিজেদের বক্তব্যের সময় ড. কামাল হোসেন বা সুব্রত চৌধুরী কর্মীদের ক্ষোভের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিএস