কেন বাদ পড়লেন শাজাহান খান?

একাদশ জাতীয় সংসদের মন্ত্রিসভার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন বিগত মন্ত্রিসভায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করা শাজাহান খান। একই মন্ত্রণালয়ে এবার কোনো মন্ত্রী না রেখে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে।

মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম রবিবার বিকাল ৫টায় তা সংবাদ সম্মেলন করে জানান। যেখানে ছিল না শাজাহান খানের নাম। তিনি ছাড়াও মন্ত্রিসভায় থাকা সিনিয়র মন্ত্রীদের অধিকাংশই বাদ পড়েছেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভার শপথ হতে যাচ্ছে সোমবার।

শাজাহান খান সর্বপ্রথম ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরই মধ্যে ২০০৯ সালের ৩১শে জুলাই নৌপরিবহন মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। আর ২০১৩ সালের নভেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রীসভায় তাকে নৌপরিবহন এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। জানুয়ারি ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি শুধুমাত্র নৌপরিবহন মন্ত্রীর কার্যভার গ্রহণ করেন।

মন্ত্রীত্ব ছাড়াও শাজাহান খান জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমিতির নির্বাহী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

পরিবহন ও শ্রমিক নেতা শাজাহান খানের বিভিন্ন সময়ে দেয়া বক্তব্য ও অবস্থানের কারণে সমালোচনা হয়েছে। যদিও বিতর্কের মুখে তা প্রত্যাহার করেন তিনি। এছাড়া ২০১৬ সালে পরিবহন খাতে অনিয়মের জন্য তাকে অভিযুক্ত করে তার অপসারণ দাবি করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন শিখার্থীর মৃত্যুর পর মন্ত্রীর করা মন্তব্য সমালোচিত হয় এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা শাজাহান খানের বিরুদ্ধে এবং সড়কে নৈরাজ্য দূরীকরণের জন্য বিক্ষোভ শুরু করে। এছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন সময় তার দোষী চালক ও পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষে নমনীয় থাকার অভিযোগেও তাকে অনেকে অভিযুক্ত করে থাকেন।

নৌমন্ত্রীর এমন আচরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে আরো সংযত হয়ে কথা বলারও নির্দেশ দিয়েছিলেন।

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/বিএনকে

Scroll to Top