আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারা যে ভুল করেছে, এবারও শপথ না নিয়ে একই ভুল করছে বিএনপি’। তিনি আরও বলেন, ‘বড় জয় যেমন এসেছে, মন্ত্রিসভায়ও বড় চমক থাকতে পারে।
শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সঙ্গে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা সেসময় সেখানে ছিলেন।
গতকাল শপথ নিয়েছেন বেশিরভাগ সংসদ সদস্য, তবে শপথ নেয়নি বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত কয়েকজন। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ৭ জন সংসদ সদস্য (এমপি) শপথ নিয়ে সংসদে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে খোদ বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টেই দুটি মত পাওয়া যাচ্ছে।
ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন প্রত্যাখ্যান এবং নতুন নির্বাচনের দাবি জানালেও তারা আবার সংসদে যাওয়া নিয়ে দোদুল্যমান। একপক্ষ কোনোভাবেই সংসদে যাবে না, ব্যাপক আন্দোলন চায়।
আরেক পক্ষ জানাচ্ছে, আন্দোলনের অংশ হিসেবেই বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের বিজয়ী ৭ জন সংসদ সদস্য শপথ নিতে পারেন।
তাদের যুক্তি, সংসদে গিয়ে কথা বলা উচিত। জনগণের দাবি-দাওয়া নিয়ে সংসদে সরকারের সঙ্গে যতোটা সম্ভব তর্ক-বিতর্ক করা উচিত।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হয়। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ২৯৮ আসনের ফলাফল অনুসারে, ২৮৮টিতে আওয়ামী লীগ ২৫৯, জাতীয় পার্টি ২০, ওয়ার্কার্স পার্টি তিন, জাসদ দুই, বিকল্পধারা দুই, তরিকত ফেডারেশন এক, জাতীয় পার্টির (জেপি) একজন জয়ী হয়েছেন।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/বিএনকে