বিএনপির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে অবিলম্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভেঙে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিএনপির প্রার্থী মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান।
মঙ্গলবার দুপুরে ফেসবুকে নিজের পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ দাবি জানান।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের উদ্দেশে বিএনপির সাবেক এ এমপি বলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে এই অপকর্মটি করবেন না-জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের কাছে আমাদের বিনীত নিবেদন।
আইন বা বিচার বিভাগও যে সরকারের শক্ত নিয়ন্ত্রণে তা যদি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা না বোঝেন তাহলে এও জাতির আরেকটি দুর্ভাগ্য।’
নির্বাচনের ফল মেনে নেয়ার আহবান জানিয়ে স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘যা হবার হয়ে গেছে। আপাতত তা পরিবর্তন করার বুদ্ধি বা ক্ষমতা কোনোটাই আমাদের নাই। এটি চরম বাস্তবতা।
ভারত ও চীনসহ অনেক রাষ্ট্র প্রধানরা বাংলাদেশের নির্বাচন মেনে নিয়েছেন। অন্যরাও ধানাইপানাই করে মেনে নেবেন। আপনারা অযথা বাগাড়ম্বর করে বিএনপির নেতাকর্মীদের জীবন দুর্বিসহ করে দিয়েন না।’
বিএনপির জেষ্ঠ্য নেতাদের সমালোচনা করে আখতারুজ্জামান লেখেন, ‘এমনিতেই দলের ১০০ ভাগ নেতাকর্মী জেল জুলুমের শিকার। আর আপনাদের নেতাগিরি দেখাতে গিয়ে বিএনপির অস্তিত্ব বিলুপ্ত করে দিয়েন না।’
ফেসবুকের এ স্ট্যাটাসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের কাছে বেশকিছু দাবি তুলেন ধরেন মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান।
# বিনাবাক্যে ও শর্তে নির্বাচনের ফল মেনে নিন।
# অবিলম্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভেঙে দিন।
# সব সিনিয়র নেতারা রাজনীতি থেকে অবসর নিন।
# আগামী এক বছরের জন্য সব প্রকার রাজনৈতিক তৎপরতা স্বেচ্ছায় বন্ধ করে দিন।
# নির্বাচন উত্তর সব তৎপরতা স্থগিত করেন।
# এক বছর পর নতুন করে রাজনৈতিক শক্তি সংগঠিত করার এবং পরবর্তী নির্বাচনের জন্য নতুন যোগ্য নেতৃত্ব সৃষ্টির সুযোগ দিন। # দেশে ইতিবাচক রাজনৈতিক ধারা সৃষ্টিতে সবাই সহযোগিতা করুন।
ফেসবুকের ওই স্ট্যাটাসে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন যুক্ত করে দেন, যার শিরোনাম হল-‘আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা দিল ঐক্যফ্রন্ট’।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান।
তবে নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছে হেরে যান।
এ আসনে আওয়ামী লীগের নূর মোহাম্মদ ৩ লাখ ৭৭৬ ভোট জয় লাভ করেন। আর আখতারুজ্জমান ৫৪ হাজার ৫০ ভোট পান।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিএস