একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি নির্বাচনকালীন সরকার ও প্রয়োজনে অবশ্যই সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব দিয়েছে গণফ্রন্ট।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপে এসব দাবি তুলে ধরে দলটি। মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা সভাপতিত্ব করেন।
সংলাপে গণফ্রন্টের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি অংশ নেয়।
দলটির পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাবে ইসিকে জানানো হয়, বর্তমান সরকারকে সংবিধান সংশোধন করে হলেও (তত্ত্বাবধায়ক নয়, অরাজনৈতিক সরকার নয়) একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। স্বাধীনতার পরে যে সকল নিবন্ধিত দলের সংসদে প্রতিনিধিত্ব ছিল (বিতর্কিত নির্বাচন যেমন ৮৮, ৯৬ এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ব্যতীত) তাদের সমন্বয়ে একটি সরকার গঠন করা যেতে পারে। প্রয়োজনে সমঝোতার মাধ্যমে সে সরকারের প্রধান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তবে নির্বাচনকালীন সরকারের কেউ জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
এছাড়া নির্বাচনে ভয়ভীতিমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি প্রয়োজনবোধে সেনা সদস্য মোতায়েন করার প্রস্তাব দেয় গণফ্রন্ট।
এছাড়া দলটির অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- দলের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য নাম স্বর্বস্ব, প্যাড স্বর্বস্ব, অফিসবিহীন রাতারাতি গড়ে উঠা অনিবন্ধিত দলগুলো যাতে নিবন্ধিত দলের সাথে জোট করতে না পারে এ জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা; নির্বাচনের অন্তত ছয়মাস পূর্বে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের দলীয় প্রধানের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা; জাতীয় সংসদের সীমানা পুনর্বিন্যাস করার জন্য আইনী কাঠামো সংস্কার করা, পাশাপাশি বাস্তবতার নিরিখে আসন সংখ্যারও বৃদ্ধি করা। সংসদের আসন নূন্যতম সংখ্যা ৩৫০/৪৫০টি করা; প্রবাসীদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাদেরকে সহজে ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করা; একই পোস্টারে সকল প্রার্থীর পরিচয় ও প্রতীক এবঙ নির্বাচনী জনসভা একই মঞ্চে সকল প্রার্থীর বক্তব্যের ব্যবস্থা করা এবং দেশ, জনগণ, গণতন্ত্রের স্বার্থে বিতর্কিত নির্বাচন নয় এবং সকল দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা।
এদিকে বুধবার বিকেল ৩টায় গণফোরামের সঙ্গে সংলাপে বসছে কমিশন।
গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি দিয়ে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। এরপর ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে ইসি।
আর গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সংলাপে বসেছে নির্বাচন কমিশন। এখন পর্যন্ত ১৫টি রাজনৈতিক দল এই সংলাপে অংশ নিল।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ১৬ জুলাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোডম্যাপ ঘোষণা করে ইসি। রোডম্যাপ অনুযায়ী চলছে নির্বাচনী সংলাপ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসডিএম