শয়তান ধরতে গিয়ে যেন ভালো মানুষ শিকার না হয়: মির্জা আব্বাস

শয়তান শিকার অভিযানে গিয়ে যেন ভালো মানুষ শিকার হয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মুগদায় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মুস্তাফা কামাল স্টেডিয়ামে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি ও জনসম্পৃক্ততা’ শীর্ষক কর্মশালায় এই পরামর্শ দেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সংস্কার সংস্কার বলে এক দল পাগল হয়ে যাচ্ছে। সংস্কার চলমান আর উন্নয়ন একটা প্রক্রিয়া, এটা চলতেই থাকে। কোনো কাজ ঘোষণা দিয়ে দেরি করা ঠিক না। তাই যা সংস্কার দরকার তা করে ফেলতে হবে।’

নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানানোয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো চক্রান্ত না থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে নির্বাচন হবে। যার ফলে দেশের জনগণ তাদের পছন্দমত দল ও প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে।’

স্থানীয় সরকার নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের পর হবে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করেছি সংসদ নির্বাচনের জন্য। এরমধ্যে স্থানীয় নির্বাচনের কথা মাথায় আনা যাবে না। কারণ, আওয়ামী লীগ গর্তের ভেতর মাথা লুকিয়ে রেখেছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে তারা গর্ত থেকে মাথা বের করবে। তাই আওয়ামী লীগকে সেই সুযোগ দেয়া যাবে না।’

‘দেশে অশুভশক্তির কোনো কার্যক্রম আমরা হতে দেব না। এই সরকারকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাব। যারা বানচালের চেষ্টা করবেন তারা সঠিক জবাব পেয়ে যাবে,’ যোগ করেন মির্জা আব্বাস।

‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘শয়তান শিকারের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে। ভালো কাজ, এর জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তবে শয়তান শিকার করতে গিয়ে যেন ভালো মানুষ শিকার না হয়ে যায় খেয়াল রাখতে হবে।’

তবে ‘শয়তান’ সরকারের আশেপাশে রয়েছে দাবি করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘গত ১৭ বছরে এ ধরনের লোকগুলোকে আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন জায়গায় বসিয়ে গেছে। ইউএনও অফিস থেকে শুরু ডিসি অফিস কিংবা ঢাকার অফিস। পোশাকি প্রতিষ্ঠানেও এসব শয়তান লুকিয়ে রয়েছে। অনেক শয়তান সচিবালয়ের রয়েছে। যারা এখনও আওয়ামী লীগের পা-চাটা গোলাম। তারা আওয়ামী লীগের পারপাস সার্ভ করছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে তারা ভিন্ন পথে প্ররোচিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দিকে নজর দিতে হবে।’