নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের ‘আওয়ামী লীগ ছাড়াও আগামী জাতীয় নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না’ বক্তব্যের এবং আওয়ামী লীগকে রাজনীতি থেকে ১০ বছর দূরে রাখার ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে মাহবুবউল আলম হানিফের প্রেস সচিব মোহা. তারিক-উল-ইসলাম টুটুলের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানান তিনি।
বিবৃতিতে হানিফ বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের দেয়া বক্তব্য ‘আওয়ামী লীগ ছাড়াও আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে’ এবং আওয়ামী লীগকে রাজনীতি থেকে ১০ বছর দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করার যে নীলনকশা করা হচ্ছে তা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ও বৃহৎ রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখার যে হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে এ ধরনের অপতৎপরতা থেকে দূরে থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
বদিউল আলম মজুমদারের বক্তব্য একেবারেই অযৌক্তি দাবি করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বলেন, ‘উনি (বদিউল আলম) একদিকে গণতন্ত্রের কথা বলছেন, আবার আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ, শক্তিশালী রাজনৈতিক দল; যে দলের নেতেৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশের সমস্ত উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা, মর্যাদা যে দলের হাত ধরে, সেই দলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে নির্বাচনের কথা বলেছেন। যেটা এবোরেই অগ্রহণযোগ্য এবং অযৌক্তিক।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন অতীতে কখনো হয়নি, ভবিষ্যতেও হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আইয়ুব খানের শাসনামল থেকে শুরু করে প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেছে। আওয়ামী লীগ এই দেশের মাটি ও মানুষের দল। আওয়ামী লীগের শেকড় এই বাংলার মাটির অনেক গভীরে।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বর্তমানে কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটাও মাথায় রাখতে হবে যে ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে যখন আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, তখনও এরকম একটা ধাক্কা এসেছিল। সেই আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। অতএব, এবারের ঘটনায় এমন ভাবার কোনো কারণ নেই যে, এই আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। আওয়ামী লীগ আবার অতীতের মতো ঘুরে দাঁড়াবে এবং আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে এই বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।’