বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সকে কেন্দ্র করে জামালপুরে বিএনপির দুগ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুনের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়ায় সৈয়দ আলী মণ্ডল কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বিকেল ৩টার দিকে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। এর কিছুক্ষণ আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি তার সমর্থিত নেতা কর্মী নিয়ে কমিউনিটি সেন্টারে যাওয়ার চেষ্টা করলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুনের কর্মী সমর্থকরা বাধা দেন। এ সময় দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
দুপক্ষের দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর চলে। এতে ইটপাটকেল নিক্ষেপে দুপক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রসহ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুরো দেওয়ানপাড়া এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এরপর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী সিরাজুল হক নিলুফার চৌধুরী মনিকে অনুষ্ঠনস্থলে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। তার অনুরোধে মনি ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিলে তার সমর্থিত নেতাকর্মীরা শান্ত হন।
এরপর শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কমিউনিটি সেন্টার এলাকা দখলে নেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে ফৌজদারি চত্বরে একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেন।
জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, ‘আজকের এই সভাটি মূলত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে জেলা বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের মতবিনিময় সভা। এখানে সুনির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়া করা হয়েছে। দুর্ভাগ্য জনিত একজন কেন্দ্রীয় নেত্রীর নেতৃত্বে ৪০/ ৫০ জনের একটি দল আসে। তারা এতে ঢোকার চেষ্টা করেন। আমরা তাদের বুঝানোর চেষ্টা করেছি। এখানে ক্রাইটেরিয়া বাইরে আসার সুযোগ নেই। তারা উত্তেজিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে ভাঙচুর শুরু করেন। প্রোগ্রামটা বানচাল করার চেষ্টা করা হয়। আমরা যথারীতি ভিতরে বসেছিলাম। তারা বাইরে থেকে ভাঙচুর করেছে। গাড়ি ভাঙচুরসহ অনেক নেতাকর্মীকে আহত করেছেন তারা।’
জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি বলেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটা বৈঠক করবে। সেই বৈঠকে থাকার জন্য আমরা আসছি। এখানে জেলা বিএনপি অন্যায়ভাবে যে নিয়ম করছে, তাতে ত্যাগী নেতাকর্মীরা যেতে পারছেন না। যারা ১৭ বছর জেল খেটেছেন। জেলা বিএনপির সেক্রেটারি নিজে কোনো দিন জেল খাটেননি কোনো মামলা নাই। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে দল চালিয়েছেন। আমাদের ছেলেদের ব্যবহার করে দল চালিয়েছে তাদের আজ ঢুকতে দেননি। এইভাবে চলতে পারে না। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী তার কাছে নির্যাতিত হয়েছেন।’