ছাত্র-জনতার গণবিক্ষোভের মাঝে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। শুরুতে রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে না থাকলেও চলমান পরিস্থিতিতে রাজনীতিতে যোগ দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তার বক্তব্যের বরাত দিয়ে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
সরকার পতনের প্রেক্ষাপটে দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েছেন। একইসঙ্গে দেশে ফেরার গুঞ্জন রয়েছে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। এমন আবহে আওয়ামী লীগের হাল ধরতে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। বর্তমানে দলের প্রয়োজনে সামনের সারিতেই রয়েছেন বলছেন তিনি।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জয় বলেন, ‘দল ও নেতাকর্মীদের বাঁচাতে যা যা করা দরকার আমি করব। যদি আমার রাজনীতিতে যোগদানের প্রয়োজন হয়, আমি তা থেকে দূরে থাকব না। আমার মা বর্তমান মেয়াদের পর রাজনীতি থেকে অবসর নিতেন’।
‘আমার কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না এবং আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী। কিন্তু বাংলাদেশে গত কয়েকদিনের পরিস্থিতিতে নেতৃত্বের শূন্যতা তৈরি রয়েছে। দলের স্বার্থে আমাকে সক্রিয় হতে হয়েছে এবং আমি এখন সামনের সারিতে আছি’।
এর আগে ডয়েচে ভেলের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে শেখ পরিবার দ্রুত রাজনীতিতে ফিরবে না বলে জানিয়েছিলেন জয়। কিন্তু এবার দ্রুতই সিদ্ধান্ত পাল্টাচ্ছেন তিনি। অন্তবর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে আওয়ামী লীগ অংশ নিবে বলেছেন জয়।
এবার জয়ের ভাষ্য, ‘আমি নিশ্চিত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে এবং আমরা জয়ীও হতে পারি। বাংলাদেশে আমাদের সবচেয়ে বড় সমর্থক রয়েছে।’
আওয়ামী লীগে সরকারের গত তিনবারের মেয়াদে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক অবৈতনিক উপদেষ্টা ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য হন জয়। গতবছর রংপুর জেলা আ.লীগের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির ১ নম্বর সদস্য তিনি।