কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারসহ নানামুখী নিপীড়নের মধ্যে আপাতত দলীয় ব্যানারে কর্মসূচি করবে না বিএনপি।
কারফিউ বলবৎ থাকাসহ গ্রেপ্তার অভিযানের এই সময়টাতে দলের কর্মী-সমর্থকেরা যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকবেন। পাশাপাশি বিএনপিপন্থী বা সরকারবিরোধী পেশাজীবী সংগঠনগুলোর কর্মসূচিতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশ নিতে পারেন।
বুধবার বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর এটিই দলটির প্রথম বৈঠক। কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে ইন্টারনেট সেবা বন্ধের পর এটি স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক।
এতে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে বিএনপির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, স্থায়ী কমিটির নেতারা সংক্ষিপ্তভাবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়টি মূল্যায়ন করেন। গ্রেপ্তার ও আত্মগোপনে থাকায় কমিটির চারজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। আত্মগোপনে থাকা নেতাকর্মীরা একে অন্যের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন আছেন।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলে বিএনপির কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেওয়া উচিত এবং পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দলটির সঙ্গে কী উপায়ে রাজনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা যায়, সে বিষয়ে কমিটির সদস্যরা আলোচনা করেন।