১৪ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা হবে।
সোমবার আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, ১৪ দলকে আরও সক্রিয় ও কর্মসূচিমুখী করার লক্ষ্য সামনে রেখেই এই সভা ডাকা হয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কোটাবিরোধী আন্দোলন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন, দ্রব্যমূল্যসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং অর্থনীতির নানা বিষয়ে আলোচনায় উঠে আসবে। বৈঠক থেকে কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল পর্যায়ে ১৪ দলীয় জোটগতভাবে এবং শরিক দলগুলো আলাদাভাবে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার বিষয়েও আলোচনা ও সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
সভার বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুকে বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে ১৪ দলের নেতাদের একটা মিটিং বেশ কিছুদিন আগেই হওয়ার কথা ছিল। সেটিই বৃহস্পতিবার হবে।’
মিটিংয়ের অ্যাজেন্ডা সম্পর্কে জানতে চাইলে ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, বৃহস্পতিবার মিটিং ডাকা হয়েছে। কিন্তু কোনো এজেন্ডার কথা বলা হয়নি। এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
তবে ১৪ দলীয় জোটের আরেক শরিক গণতন্ত্রী পার্টির (একাংশ) সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনকে বলেন, চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট নিয়ে ১৪ দলীয় জোটের মিটিংয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। এটা (এই আলোচন) হতে পারে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত ২৩ মে ১৪ দল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জোট নেত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে শরিক দলের নেতারা নির্বাচন ও সরকার গঠনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে না পাওয়ার কথা তুলে ধরে জোটের প্রাসঙ্গিকতা ও ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তবে বৈঠকে শেখ হাসিনা শরিক দলের নেতাদের আশ্বস্ত করে বলেন, জোট এবং জোটের প্রাসঙ্গিকতা অবশ্যই আছে।
এ সময় তিনি সবাইকে নিজ দলের সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ১৪ দলীয় জোটকে আরও বেশি কার্যকর করা, নিয়মিত কর্মসূচি পালন করাসহ নানা বিষয়ে শরিক নেতাদের পরামর্শ দেন।
এরপর গত ৪ জুন জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাসায় বৈঠকে বসেন জোট নেতারা। সেখানেও আবার নিজেদের ক্ষোভ ও মান-অভিমানের কথা জানান শরিক দলের শীর্ষ নেতারা। ওই সভায় ১৪ দলীয় জোটকে আরও সক্রিয় করা এবং সামনের দিনের নানা কর্মসূচি পালনের বিষয়েও আলোচনা হয়।
সেদিন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস জানিয়েছিলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঈদের আগেই ১৪ দল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে তৃণমূলে শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঐক্য বাড়ানো এবং জোটের সামনের দিনের কর্মসূচিগুলো চূড়ান্ত করা হবে। তবে চিকিৎসার জন্য ওবায়দুল কাদেরের দেশের বাইরে থাকাসহ নানা কারণে এই বৈঠক পিছিয়ে যায়।