ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি নেতারা। সোমবার দুপুরে পূর্বনির্ধারিত এ বৈঠকে জাতিসংঘের এসডিজি (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল) বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত নিয়ে দ্বিপাক্ষিক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনময়কালে এবি পার্টির প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া এবং এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব ও উইমেন ইনচার্জ ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি।
এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ওই বৈঠকে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক, গোয়েন লুইস ছাড়াও ঢাকা দপ্তরের সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মূল বিষয় ছিল জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে সরকারের আসন্ন অগ্রগতির দাবি প্রসঙ্গ। এবি পার্টি মনে করে বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে অনেক পিছিয়ে আছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ সুশাসনের অভাব, দুর্নীতি ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক দলীয় করণের প্রভাব। ২০৩০ সালের এজেন্ডা ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এবং ইউএন ডেভেলপমেন্ট সিস্টেম রিফর্মের (ইউএনডিএস) সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশে জাতিসংঘ সংস্থাগুলো যে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবি পার্টির নেতারা তার প্রশংসা করেন।
নেতারা বলেন, এসডিজি বাস্তবায়ন এবং উন্নয়ন প্রভাব বাড়ানোর জন্য একটি নতুন এবং সুসংগত উপায়ে সরকারের একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
নেতারা বলেন, এবি পার্টি শুধু অর্থনৈতিক সংকটই নয়, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের অবস্থার উন্নতির জন্য একটি স্থিতিশীল ও প্রতিনিধিত্বশীল সরকারের প্রয়োজন অনুভব করে। প্রতিটি আন্তর্জাতিক সূচক ইঙ্গিত করে যে আমরা, একটি দেশ ও জাতি হিসাবে, আইনের শাসন, লিঙ্গ ভারসাম্য এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পিছিয়ে পড়ছি। জাতীয় অগ্রগতি যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য জাতিসংঘকে তার সহায়তা, নিযুক্তি ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তারা।