asif

কোটার ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে দেব না : ইনান

কোটা ইস্যুতে ঘোলা পানিতে কেউ যেন মাছ শিকার করতে না পারে সে জন্য আমরা সচেষ্ট রয়েছি বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

সরকারি চাকরিতে ‘কোটা’ ইস্যু নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনা সংগ্রহ, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংবলিত লিফলেট বিতরণ, উন্মুক্ত আলাপন, যৌক্তিক উপায় নেওয়া এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করার জন্য ‘পলিসি অ্যাডভোকেসি ও ‘ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইনের ওপর আলোকপাতের উদ্দেশে শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ইনান বলেন, ‘আমরা একটি ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নিয়েছি, যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর হলে শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে তাদের সঠিক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব। কোটা ইস্যুর যৌক্তিক এবং বাস্তবসম্মত সমাধানের লক্ষ্যে ঘোলা পানিতে কেউ যেন মাছ শিকার করতে না পারে সে জন্য আমরা সচেষ্ট রয়েছি।

বিভিন্ন সঠিক তথ্য-উপাত্ত লিফলেট আকারে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরব। কারণ তারা যেন ভুল পথে পা না বাড়ান, কোনো ষড়যন্ত্রে নিজেদের ভবিষ্যৎ জীবনকে বিনষ্ট না করেন। এ দেশ আমাদের, শিক্ষার্থীদের বিষয়টি মাথায় রেখে চলতে হবে। সাধারণ মানুষের প্রতি তাদের যে দায়বদ্ধতা রয়েছে সেটি যেন তারা পালন করেন।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে ভর করে ষড়যন্ত্র করে এ দেশের অগ্রযাত্রাকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করে। সেই ধরনের লোকদের এ আন্দোলনে সম্পৃক্ততা আমাদের উদ্বিগ্ন করে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে কেউ দেশের শান্ত পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে ফলাফল ভালো হবে না।’

কোটার বিষয়ে প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে সাদ্দাম বলেন, ‘নারীদের সামনে আনতে তাদের কোনো কথা নেই। ২০১৮-এর পর কোটা না থাকায় নারীদের অংশগ্রহণ কমেছে। কমেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সংখ্যাও। বেশ কয়েকটি জেলার মানুষ চাকরিই পায়নি। তা ছাড়া ২০১৮ সালে আন্দোলনকারীদের একজনও বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি ‘
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘পলিটিক্যাল অ্যাটেনশন সিকিংয়ের জন্য শাহবাগে আন্দোলন হচ্ছে। ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।

এই কোটা আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এখানে সন্ত্রাসীদের গেট টুগেদার হয়েছে। আমরা সেখানে ছাত্রদলের ক্যাডারদেরও দেখেছি।’

Scroll to Top