বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বারবার বলেছেন বিদেশে আমাদের বন্ধু থাকতে পারে, আমাদের কোনো প্রভূ নাই। আমরা কোনোদিন গোলামী করি নাই, করতে চাইও না। বিদেশিদের গোলামী করার কারণেই আজ দেশে লুটের রাজত্ব শুরু হয়ে গেছে। এসব ব্যাপারে কোনো কথা বললেই আমাদের নেতাকর্মীদের জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মানিকগঞ্জ শহরের খন্দকার দেলোয়ার হোসেন কলেজ মাঠে জেলা বিএনপির আয়োজনে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের দেশনেত্রী আর গণতন্ত্র একই সূত্রে গাঁথা। খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে কখনো গণতন্ত্রকে চিন্তা করা যাবে না। অপরদিকে, আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র কখনো একসঙ্গে চলেতে পারে না। যেখানে আওয়ামী লীগ আছে সেখানে গণতন্ত্র থাকতে পারে না।
কোটা আন্দোলনের সমর্থন দিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, যে ছাত্র পড়ালেখায় ভালো করবে সে তার যোগ্যতায় চাকরি পাবে এখানে তো কোনো সমস্যা নেই। মুক্তিযোদ্ধা কোটার কথা বললে কোনো আপত্তি নাই। আসল মুক্তিযোদ্ধাদের অবশ্যই সম্মান দিতে হবে। তবে দেশে এখন কতজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কোটায় চাকরি দেবেন আর মেধাবী সন্তানরা চাকরি পাবে না তা কিভাবে হয়। মেধার ভিত্তিতে যদি চাকরি না হয় এক সময় দেশ মেধা শূন্য হয়ে যাবে।
সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, সহ-সাংগঠনিক বেনজীর আহমেদ টিটু, নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএ জিন্নাহ কবিরসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।